মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

দিনাজপুরের ডিসি পরিচয় দিয়ে উখিয়া স্টেশনের জিএম মার্কেটের বাপন জুয়েলার্স থেকে প্রায় ১ভরি ওজনের ৪ টি স্বর্ণের চেইন নিয়ে পালিয়েছে এক প্রতারক। বৃহস্পতিবার ১৭ সেপ্টেম্বর এ ঘটনা ঘটে।

সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এক ব্যক্তি উখিয়া স্টেশনে বাপন জুয়েলার্সে এসে কয়েকটি স্বর্ণের চেইন দেখাতে বলে। লোকটি তার স্ত্রী সহ উখিয়া ডাকবাংলোতে উঠেছেন বলে জুয়েলার্সের স্টাফদের জানায়। লোকটি বাপন জুয়েলার্সের দেখানো ৪টি চেইন থেকে একটি চেইন পছন্দ করার জন্য ডাকবাংলোতে অবস্থানকারী তার স্ত্রীর কাছে ৪ টি চেইনই নিয়ে যেতে চায়। তখন বাপন জুয়েলার্সের স্টাফেরা অপরাগতা জানালে লোকটি উখিয়ার ইউএনও-কে মোবাইল ফোন করার অভিনয় করে। মোবাইল ফোনে লোকটি বলতে থাকে “নিকার তোমার মেয়েকে দেখতে আসবো, তোমার ভাবী চেইন কিনতে পাঠিয়েছে আমাকে।” একপর্যায়ে লোকটি ‘মোঃ মাহমুদুল আলম, ডেপুটি কমিশনার দিনাজপুর’ নামীয় ইংরেজিতে লেখা একটি ভিজিটিং কার্ড বের করে দেয়। বাপন জুয়েলার্সের লোকজন তখন একটু ভয় পেয়ে লোকটিকে ৪ টি চেইন দেন। তার সাথে বাপন জুয়েলার্সের স্টাফ মাধব দে ও পার্শ্ববর্তী একটি প্রসাধনীর দোকানের মালিক সোহেল ডাকবাংলোতে যায়। লোকটি বাপন জুয়েলার্সের স্টাফ সহ ২ জনকে নাস্তা দেওয়ার কথা বলে রান্না ঘরের দিকে যায়। লোকটি দীর্ঘক্ষণ না আসায় বাপন জুয়েলার্সের স্টাফ ও সোহেল রান্নাঘরের দিকে গিয়ে দেখে তাদের ড্রয়িং রুমে বসিয়ে রেখে যাওয়া লোকটি পেছনের দরজা দিয়ে ইতিমধ্যে ৪টি চেইন নিয়ে পালিয়েছে।

পরে উখিয়া দোকান মালিক সমিতির সভাপতি একরামুল হক সহ স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার মোঃ শফির কাছে কিভাবে প্রতারক লোকটি ডাকবাংলোতে থাকলো-তা জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের জনৈক স্টাফের অনুরোধে উক্ত প্রতারককে ডাকবাংলোতে রাখা হয়েছে বলে কেয়ারটেকার মোঃ শফি তাদের জানায়। কিন্তু পরে মোঃ শফির এ বক্তব্যের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।

বাপন জুয়েলার্সের মালিক বাপন ধর জানান, উখিয়া দোকান মালিক সমিতির সভাপতি একরামুল হক, জিএম মার্কেটের মালিক মোহাম্মদ ইউনুস সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা বসে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ বিষয়টি সুরাহা করেন। ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার মোঃ শফি ও তার ছেলে প্রতারকের নিয়ে যাওয়া স্বর্ণের মূল্য বাবদ ৬৪ হাজার টাকা বাপন জুয়েলার্সের মালিক বাপন ধরকে নগদ ক্ষতিপূরণ দেন। অভিনব কায়দায় করা প্রতারণার এ ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

(ছবি : সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদারের ফেসবুক আইডি থেকে নেওয়া)।