প্রেস বিজ্ঞপ্তি
কক্সবাজারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আয়োজিত ইমার্জেন্সি কভিড-১৯ রেসপন্স প্রোগ্রাম বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার শহরের একটি আবাসিক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ২৩ মার্চ থেকে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিস্তাররোধে সফলভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হয়। যদিওবা বেশীরভাগ মানুষ এখনো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সচেতন নয়। এই সময়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কভিড-১৯ প্রতিরোধের ব্যাপারে সময় উপযোগী একটি প্রকল্প হাতে নেওয়ায় তিনি অভিনন্দন জানান এবং সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
বিভিন্ন ইউএন এজেন্সি, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এনজিও যারা ইতোমধ্যে আইসোলেশন সেন্টার, এম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ যে ধরণের সহযোগিতা করেছে তা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জেলা প্রশাসক। কক্সবাজারে অনেক টুরিস্ট আসেন সেজন্য তিনি হোটেল, মোটেল মালিকগনের সক্সেগ মিটিং করেছেন এবং কভিড-১৯ প্রশমনে এসওপি প্রস্তুত করেছেন। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালককে হার্ট, কিডনি এবং ক্যান্সার রোগীদের জন্য স্পেশাল সেন্টার স্থাপন করার ব্যাপারে পরামর্শ রাখেন।
অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক গোলাম মোস্তফা দুলাল। এতে তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১৯৭১ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান “ফিল্ড হসপিটাল” থেকে “গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র” নামকরণ করেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক টেকনাফ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে আশ্বস্ত করেছেন, তিনি ভবিষ্যতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে গন মানুষের জন্য কাজ করবেন। নির্বাহী পরিচালক কভিড-১৯ প্রকল্পে সহায়তা দেয়ার জন্য মাল্টিসার ইন্টারন্যাশনালকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অন্ষ্ঠুানে স্বাগত বক্তব্য এবং গণস্বাস্থ্যের কভিড-১৯ রেসপন্স প্রোগ্রাম এর উপর আলোচনা করেন প্রকল্প সমন্¦য়কারী (জিকে-এমআই প্রকল্প) ডাঃ আব্দুর রাজ্্জাক খান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ব্রণালয়ের চীফ কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আলী বলেন ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার, নার্স, মিডওয়াইফ ইত্যাদি স্টাফ প্রথম সারির যোদ্ধা’। তারা হোস্ট কমিউনিটি এবং এফডিএমএনদের সাধ্যমত সাহায্য করছে। কভিড-১৯ রোগ প্রশমনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাং শাজাহান আলি, উখিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রঞ্জন বড়ূয়া, টেকনাফ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা টিটু শীল, মাল্টিসার ইন্টারন্যাশনাল জার্মনিীর প্রতিনিধি মনিরা আহ্সান। তিনি রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী যারা অধিকতর পিছিয়ে পড়েছে তাদেরকেও যাতে প্রকল্পে সম্পৃক্ত করা হয় সেদিকে নজর রাখার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আবু জাফর মোহাম্মদ সাদেক এবং ডাঃ সাদিয়া আফরোজ। অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ৬০ জন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী উপস্থিত ছিলেন।