খোরশেদ আলম
(পর্ব-১)
রোহিঙ্গা বিশ্বের মানচিত্রে নিষ্পেষিত, অবহেলিত ও নির্যাতিত এক জনপদের নাম এক জনগোষ্ঠীর নাম। তাদের দুর্দিন কবে শেষ হবে একমাত্র মহান
রাব্বুল আলামীন জানেন । আন্তর্জাতিক আদালতে এখন চার সেনা যারা সরাসরি নির্যাতনে অংশগ্রহণ করেছে , তারা রোহিঙ্গা নির্যাতনের লোমহর্ষক বর্ণনা দিতে প্রস্তুত । তাদের প্রাথমিক বর্ণনায় ফুটে উঠে জাতিগত বিদ্বেষ । সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতী বামা’রা মনে করে সংখ্যালঘুরা তাদের দাস এবং তাদের
নিশ্চিহ্ন করতে হবে । এর মুল কারিগর সামরিক জান্তা যাতে তারা ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে পারে এবং সংবিধান সেভাবে রচিত ।
সংবিধানে মূল সমস্যার ব্যাপার জানা দরকার, “সংবিধানে কোন বিল পাশ করত হলে ৭৫% সমর্থন দরকার। সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব ২৫% এবং সামরিক সমর্থিত ২/৩ টা রাজনৈতিক দল আছে ৫% – ১০% । অংসান সূ-চী’র রাজনৈতিক দল কোন বিল সহজে পাশ করাতে পারে না। এখানেই আটকে আছে রোহিঙ্গা সমস্যা ও অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠীর আত্মপরিচয়ের সমস্যা । ”
অংসান সূ-চী তাই সামরিক জান্তাদের ক্ষমতা খর্ব করার জন্য সংবিধান সংশোধনের এক উদ্যোগ নিয়েছিল খুব সম্ভবত গত এপ্রিল – মে
মাসের সংসদ অধিবেশনে কিন্তু বিফল হয়। বিপুল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর এই চাপ বাংলাদেশ আর কিভাবে বয়ে বেড়াবে কিন্তু উপায় নেই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী।
অংসান সূ-চী’র তেমন করার কিছুই নাই এবং কিছু করতে চাইলেও পারবে না । নামেমাত্র জনগণের সরকার আসলে সামরিক জান্তা’র হাতের পুতুল অন্যথায় গদি নড়ে যাবে । তাই তাঁর সাথে আলোচনা , দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি শুধু সময়ক্ষেপন মাত্র ফলদায়ক নয়। আমি সমাধানের দুটি পথ দেখাতে পাই যা নিন্মে উল্লেখ করলাম, ইহা একান্তই আমার মতামত,
১। চীনকে রাজী করাতে পারলে একদিনে সমাধান সম্ভব এবং এখনই সময় ।
২। আমাদেরকে অংসান সূ-চীকে নয় বরং সামরিক জান্তা’কে গুরুত্ব দিয়ে বারে বারে আলোচনা, দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা ও বিভিন্ন সফরের মাধ্যমে তাদেরকে রাজী করাতে হবে এবং এখনই সময় ।
দোয়া করি মহান রাব্বুল আলামীন যেন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও আমাদের দেশকে এই সংকট নিরসনের সুযোগ করে দেয় ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।