মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কুঃ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী বাজারে একরাতে ৫টি দোকানে দূর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। বুধবার গভীর রাত ও বৃহস্পতিবার ভোররাতে এসব দোকানে চুরি সংগঠিত হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সকালে দোকান খোলার পর চুরি হওয়ার বিষয়টি নজরে আসে ব্যবসায়ীদের।
চুরি হওয়া দোকান গুলো হলো- বাইশারী বাজারের সিকান্দরের মোবাইল গ্যালারী, জালাল আহমদের চনামুড়ি, আনসারুল করিম খোকনের কুলিং কর্ণার, দিলীপ কান্তি’র নাপিতের দোকান ও মোঃ ইসহাক সওদাগরের মুদির দোকান। দোকানের পিছনের দরজা ভেঙ্গে এসব দোকান থেকে অর্ধ লক্ষ নগদ টাকা সহ মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল।
মুদি দোকানের মালিক ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য মোঃ ইসহাক সওদাগর জানান, তার দোকানের পাশের নাপিতের দোকান থেকে কাঠ কেটে মুদির দোকানে প্রবেশ করে ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ৩৫ হাজার ও কিছু সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে যায়। দোকানের অভ্যন্তরে ক্যাশ ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত রড় ও নাপিতের কাঁচি পাওয়া যায়।
মোবাইল গ্যালারীর মালিক মোঃ সেকান্দর জানান, তার পাশ্ববর্তী চনামুড়ির দোকান থেকে কাঠের বেড়া কেটে তার মোবাইল গ্যালারীর দোকানে প্রবেশ করে। সকালে দোকান খুলে দেখতে পায় যে, ক্যাশ ভাঙ্গতে না পারলেও দোকানে রক্ষিত মোবাইল সেটের মধ্যে ৭টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ হাজার টাকা। এ সময় ক্যাশের চেয়ারে চুরির কাজে ব্যবহৃত কিছু নাপিতের কাঁচি ও একটি ছুরি পাওয়া যায়।
কুলিং কর্ণারের মালিক আনসারুল করিম খোকন জানান, দোকান থেকে তার ব্যবহারের ৩টি মোবাইল সেট এবং পানীয় সামগ্রী নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বাইশারী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাহাদুর বলেন- কারো দোকানের পিছন থেকে ভেঙ্গে চুরি করলে, সে দায়ভার কমিটি বহন করবে না। বাজারে নিয়মিত পুলিশী টহল ও ৩ জন পাহারাদার রয়েছে। তবুও বাজারের দোকান চুরির বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করা হবে। প্রশাসনের সহযোগীতায় চোর চিহ্নিত করা হবে।
বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক এনামুল হক মুঠোফোনে জানান, তিনি নতুন যোগদান করেছেন বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রে। বাজারে চুরির ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক। তবে এখনো পর্যন্ত তিনি এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাননি। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।