আনম রফিকুর রশীদ


কথায় বলে, ভাতে মাছে বাঙালি। ভাত আর মাছ পেলে বাঙালির অন্য কিছু না হলেও চলে।

ব্রিটিশ পূর্ব আমলে বাংলা ছিল ধানের প্রাচুর্য, টাকায় পাওয়া যেতো আটমন। কৃষি ভূমির উপর বর্ধিত জনসংখ্যার চাপ পড়লে ধানের স্বল্পতা দেখা দিয়েছিল একসময়। আল্লাহর রহমতে হাইব্রিডের কল্যাণে বাংলাদেশ এখন ধানে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

প্রজনন মৌসুমে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ও ইলিশের জাটকা ধরা বন্ধ হওয়ায় মাছের বাজার এখন রুপালি ইলিশে সয়লাব।

কারণে-অকারণে জনগণ এখন রাজনীতি বিমুখ। চায়ের কাপে উত্তাপ তোলার সুখ এখন কেউ আর অনুভব করে না। পত্রিকার দীর্ঘ উপসম্পাদকীয় কলাম পড়ার নেশা, রাত জেগে টিভিতে টক শো দেখা সবার কাছেই এখন বিরক্তিকর বিষয়। দু’মুঠো সাদা ভাতে, দু’চামচ ইলিশের ঝোল মিশিয়ে খেয়ে, রাত না জেগে বিছানায় উঠে আর সকাল সকাল জাগে।

ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ, জাতীয় সত্তা, জাতীয় মর্যাদার প্রতীক। দেশে ইলিশের বিপুল কাম্যতা ও চাহিদা। মুদ্রা বা ভূ রাজনীতির বিনিময়ে জনগণের মুখের স্বাদ বিকিয়ে দেওয়ার অধিকার সরকারের নেই। কারেন্ট জালের মতো ইলিশ রপ্তানির উপর চিরতরে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করুন!

প্রবাসী জনগণ বছরের-পর-বছর ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত। তাদের রেমিটেন্সের কল্যাণে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল। প্রতিবছর ইলিশ মৌসুমে দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের নিকট ইলিশ প্রণোদনা পাঠানোর জন্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বরাবরে দাবি জানাচ্ছি।

ইলিশ ভাজা, ইলিশ রান্নায় পেঁয়াজ ছাড়া চলে– অল্পস্বল্প সরিষা বাটা, মরিচগুড়োই যথেষ্ট।

পেঁয়াজের জন্যে হা-হুতাশ নয়, ইলিশ রক্ষায় সোচ্চার হোন, চিরতরে ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ হোক!


লেখক : আনম রফিকুর রশীদ ,কবি