সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও:
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী বাজারে মাত্র ১০ ঘন্টার ব্যবধানে ৩৫ টাকার পিয়াজ ৭৫ টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

ক্রেতারা বলছেন খুটাখালী বাজার নিয়ন্ত্রনে নেই কোন তদারকি।

অপরদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন আমদানি বন্ধ, শুল্ক বৃদ্ধি কারনে এ প্রভাব পড়েছে পিয়াজের বাজারে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা কথা হয় ক্রেতা
ইউনিয়নের পুর্বপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল জলিল (৩৫), নয়াপাড়া গ্রামের আজিম (২৮), হাজীপাড়া গ্রামের ইসলাম (৪০), সহ একাধিক ক্রেতারা বলেন, হঠাৎ করে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা প্রতি কেজি পিয়াজের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। আরো নাকি বাড়বে।

তবে বাজারে ছোট বড় পিয়াজ আড়ৎদাররা বলেন, গতকাল তারা পাইকারি দরে ভারতীয় পিয়াজ বিক্রি করেছে ৫৩/৫৫ টাকা।
আজকে বিক্রি করেছে ৫৮/৬০ টাকা। বন্দরে আমদামি বন্ধ, এলসি ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাই আডৎদাররা পিয়াজ ছারাতে পারছে না।
যার কারনে এর প্রভাব বাজারে পড়েছে বলে তারা দাবি করেন।
তবে, কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে তা সঠিকভাবে বলতে পারেননি কেউ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের কাঁচা বাজার, মুদি পট্টি ও পিয়াজের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়। সবার হাতে হাতে দেখা গেছে পিয়াজ।

গতকাল যেখানে ভারতীয় পিয়াজ খুচরা বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। রাত ১০টার পর থেকেই সে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।

দেশি পিয়াজ এক দিন পূর্বে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা সে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা।

খুটাখালী বাজারের এক শ্রেনীর মজুদদারি পিয়াজের দাম বৃদ্ধি এ অজুহাত দেখিয়ে ক্রেতাদের কাজ থেকে বিভিন্ন দরে বিক্রি করছে খুচরা পিয়াজ। আবার অনেকে বলছে পিয়াজ নেই।

এ ব্যাপারে বাজার মনিটারিং কমিটির সভাপতি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামসুল তাবরীজ বলেন, কোন ভাবেই বাজারে অস্থিতিতিশীল পরিবেশ হতে দেওয়া যাবে না। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের সনাক্ত করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।