নিজস্ব প্রতিবেদক#
কক্সবাজার জেলায় কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) এর প্রকোপ কমলেও আক্রান্ত হচ্ছে এখনো। তবু জীবনযাত্রাকে বিবেচনায় রেখে শর্ত সাপেক্ষে পর্যটনকেন্দ্র উন্মুক্ত করার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।
এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শতভাগ পর্যটক সেবা নিশ্চিত করবে ট্যুর অপারেটর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক)।

আগামী ১১ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল উপলক্ষে ট্যুর অপারেটর এবং ট্যুর গাইডদের সচেতনতামূলক সভায় টুয়াক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি আবাসিক হোটেলের কনফারেন্স হলে সভাটির আয়োজন করে পর্যটন ভিত্তিক সংগঠন টুয়াক।

সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনোয়ার কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন টুয়াকের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এস এম কিবরিয়া খাঁন।

তিনি ভ্রমনে গাইডিং করার সময় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের সেবা প্রদান করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান।

সভায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড প্রণীত ট্যুর অপারেটর এবং ট্যুর গাইডদের জন্য নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক আসাফ উদ্ দৌলা (আশেক)।

মতামত পেশ ও বক্তব্য রাখেন -অর্থ সম্পাদক ছৈয়দুল হক কোম্পানী, সহ-সভাপতি কামাল হোসেন খোকন, সিনিয়র সদস্য তৌহিদুল ইসলাম তোহা, ট্যুর গাইড এসোসিয়েশন এর সভাপতি শাহ আলম, যুগ্মসম্পাদক একেএম মুনিবুর রহমান (টিটু), এস এ কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আজম, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইদ্রিস আলী, সদস্য-নাসির উদ্দিন, জিল্লুর রহমান, আকতার নুর, নুরুল আলম রনি, খোরশেদ আলম, রিয়াদুল ইসলাম জনি, ইয়াছির আরফাত, মাথিং থিং।

সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ার কামাল বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং স্থানীয় প্রশাসন প্রদত্ত নির্দেশনা যথাযথা অনুসরণ করে নিজের এবং পর্যটকদের কোভিড-১৯ আক্রান্ত হবার ঝুঁকি হ্রাসে সচেতন নাগরিকের ভূমিকা পালনে সকল স্থরের পর্যটন ব্যবসায়ীদের আহবান জানান।

তিনি বলেন, কোন ট্যুর অপারেট, ট্যুর গাইড বা পর্যটন ব্যবসায়ীর অবহেলা করলে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাতে কক্সবাজার পর্যটন শিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে কক্সবাজারবাসী।