সিবিএন ডেস্ক:

আরেক দফা বাড়তে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি
করোনা পরিস্থিতির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়তে পারে। আগস্ট মাস পুরোটা ছুটি ঘোষণা করে সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস শুরু করা হতে পারে। সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রস্তুতি হিসেবে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার কাজ শুরু করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর বয়স ও শ্রেণি অনুযায়ী জ্ঞান অর্জনের বিষয় সামনে রেখে সিলেবাস সংশোধন করা হবে বলে জানা গেছে।

করোনার কারণে গত চার মাস ধরে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে আগেই। এছাড়া চলতি বছরের মার্চে যে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল করোনার কারণে সেটিও শুরু করা যায়নি।

আগামী নভেম্বরে পিইসি-ইবতেদায়ি এবং জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা আয়োজন হওয়ার কথা থাকলেও এসব পরীক্ষা পিছিয়ে নেয়া হবে বলে জানা গেছে। ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু অব্যাহত থাকায় শিগগিরই খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক না হলে সেপ্টেম্বরে খুলতে না পারলে শিক্ষাবর্ষ দুই মাস বাড়ানোর বিকল্প চিন্তাও আছে। শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। হয়তো সেপ্টেম্বরের আগে সেটা নাও হতে পারে। সেপ্টেম্বর থেকে প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরুর প্রস্তুতি হিসেবে আমরা সিলেবাস ও কারিকুলাম পর্যালোচনা করছি। প্রয়োজনে কর্মদিবস বিবেচনায় নিয়ে সিলেবাস সংক্ষেপ হচ্ছে। এ নিয়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) কাজ করছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা মাথায় রেখে আমরা সকল সিদ্ধান্ত নেব। ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা করা হবে। বন্ধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি, পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করে তা বাস্তবায়ন করা হবে। তবে ৬ আগস্টের পর ছুটি বাড়ছে কি না, তা ঈদের আগেই জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

তবে দুই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, ঈদের পর না হলেও সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। যদি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয় এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সরকারের দায়িত্বশীলরা আশ্বস্ত হন তাহলেই প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। আপাতত দুটি পরিকল্পনা সামনে রেখে প্রস্তুতি চলছে। একটি হচ্ছে- সেপ্টেম্বরে খুলে দেয়া, আরেকটি এরপর যে কোনো সময়ে খুলে দেয়া।