মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

ঈদুল আযাহার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে কক্সবাজারের পর্যটন স্পট ও পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গুলো খুলে দেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নির্ণয় করা হবে।

শনিবার ২৫ জুলাই কক্সবাজার জেলার সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এর সাথে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এক জুম কনফারেন্স এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জুম কনফারেন্সে অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

উক্ত জুম কনফারেন্সে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন ছাড়াও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সচিব) মোঃ মাহবুব আলম তালুকদার, কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) হিল্লোল বিশ্বাস, স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক (উপ সচিব) শ্রাবস্তি রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব -উপসচিব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহজাহান আলি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মাসুদুর রহমান মোল্লা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানব সম্পদ উন্নয়ন) এস. এম সরওয়ার কামাল, সদরের ইউএনও মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, রামু’র ইউএনও প্রণয় চাকমা, উখিয়ার ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান, টেকনাফের ইউএনও মোঃ সাইফুল ইসলাম, মহেশখালী ইউএনও জামিরুল ইসলাম, কুতুবদিয়ার ইউএনও জিয়াউল হক মীর, চকরিয়ার ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, পেকুয়ার ইউএনও সাঈকা সাহাদাত আলোচনায় অংশ নেন।

জুম কনফারেন্সে জেলার প্রতিটি উপজেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা, ত্রাণ সমন্বয়, সকলকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পড়তে সচেতন করা, স্বাস্থ্যবিধি অমান্যে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, কুতুবদিয়া মহেশখালী উপজেলার জন্য নৌ এ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা, পিসিআর মেশিন স্থাপন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন স্পট খুলে দেয়ার লক্ষ্যে কর্মপন্থা নির্ণয় করা, অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটর ক্রয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক অবস্থা, জেলায় ব্যাপকভাবে মাস্ক বিতরণ ইত্যাদি সহ আরো বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।