মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুস্কুলে দেশের অন্যতম বৃহৎ আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে বৃহস্পতিবার ২৩ জুলাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল প্লাটফরমের মাধ্যমে গণভবন থেকে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার সদরের খুরুশকূলে নির্মিত ২০টি ভবন উপকারভোগীদের মাঝে বরাদ্দ পাওয়া ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর করা শুরু হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে এর মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনুষ্ঠানস্থলে সাজসজ্জাসহ ব্যাপক প্রস্তুতিও সম্পন্নের পথে। নির্মিত ভবনগুলোতে পানি ও বিদ্যুতের লাইন সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ২৩ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলার খুরুশকূলে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মিত ভবনগুলোর বসতঘর উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণের শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভার্চুয়াল প্লাটফরমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে সরাসরি অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। এতে গণভবন ও খুরুশকূলের প্রান্ত থেকে নির্ধারিত অতিথিরাও অংশগ্রহণ করবেন।

এরপরই প্রধানমন্ত্রী নির্মিত ২০টি ভবন শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন এবং ১৯ জন উপকারভোগীদের মাঝে বসতঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন। এসময় খুরুশকূল প্রান্তে তিনজন উপকারভোগী কর্তৃক আশ্রয়ণ প্রকল্পস্থলে রোপণ করা হবে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এর মধ্যে ৬৮২ একর খাস জমি বিমানবন্দরের জন্য বরাদ্দ সহকারে খতিয়ান চূড়ান্ত করা হয়েছে। চিহ্নিত উল্লেখিত পরিমাণ জমিতে বর্তমানে অবৈধভাবে বসবাসরত ৪৪০৯ পরিবারের লোকজনকে পুনর্বাসন করার জন্য বাঁকখালী নদীতীরের খুরুশকূলের ২৫৩ দশমিক ৩৫ একর জমিতে তৈরি করা হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্প।

২০১৫ সালে শুরু হয় প্রকল্পে মাটি ভরাটের কাজ। প্রকল্পে চারতলাবিশিষ্ট ২৪৫টি ভবন নির্মাণ করার কথা। এর মধ্যে সেনাবাহিনী ২০টি ভবন নির্মাণ করেছে। প্রতিটি ভবনে রয়েছে ৩২টি করে ইউনিট। নির্মিত এসব ভবনে ৪৪০৯ পরিবারের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে আশ্রয় পাবে ৬৪০টি পরিবার। পুনর্বাসিত এলাকায় স্কুল, কলেজ, মসজিদ-মাদরাসা, খেলার মাঠ, গ্রোথ সেন্টার, চিকিৎসা কেন্দ্র সহ প্রয়োজনীয় সবই থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছেন।

এদিকে, গত ১৪ জুলাই কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কক্সবাজার এর শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ন প্রকল্পে নির্মিত ২০ টি ভবনের ফ্ল্যাটসমূহ উপকারভোগীদের মাঝে নিরপেক্ষভাবে বরাদ্দ প্রদান উপলক্ষে লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।