বলরাম দাশ অনুপম :

করোনার কারনে পর্যটকশূন্য কক্সবাজার সৈকতজুড়ে প্রকৃতি তার অপার সৌন্দর্য মেলে ধরছে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে কখনো সাগরলতার রাজত্ব, আবার কখনো লাল কাঁকড়ার মিছিল কখনো বা ডলফিনের মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে সৈকত ও সৈকত এলাকাকে তৈরি করেছে সৌন্দর্য্যের নগরীতে। তার মাঝে এবার এল ভিন্ন আরেক খবর।

এবার নাকি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত তীরে ভেসে আসছে সোনার গয়না। এমন খবরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিদিন সকাল-বিকাল ভিড় করছেন শত শত মানুষ। তাদের মতে সৈকতের ঢেউয়ের সাথে ভেসে আসা অলঙ্কার জমে থাকছে বালির মধ্যে। ইতোমধ্যে কয়েকজন স্বর্ণ ও হীরার আন্টিও পেয়েছেন।

জানা যায়-বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারনে কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ সাড়ে ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে। আর তাই কক্স বাজার সমুদ্র সৈকত এখন প্রায় পুরোটাই খালি। হঠাৎ সেই শূন্য সৈকতের জলে সোনার গয়না ভেসে আসার খবরে প্রতিদিন ভিড় করছেন সৈকত এলাকা ও এর আশপাশের এলাকার মানুষেরা। এমনই একজন কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার ডাব ব্যবসায়ি জসিম উদ্দিন। সোমবার (৬ জুলাই) সকালে তার সাথে কথা বলে জানা যায় শূণ্য সৈকতে সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে ভেসে আসছে স্বর্ণের ছোট বড় বিভিন্ন প্রকারের গহনা। জসিম উদ্দিন জানান-সৈকতের ঢেউয়ের সাথে স্বর্ণের আংটি, চেইন, কানফুলসহ নানা ধরনের গয়না ভেসে আসছে। সেগুলো কুড়িয়ে আমরা বিক্রি করে কিছু টাকা পাচ্ছি। কলাতলী বড়ছড়া এলাকার আবুল কাশেম জানান-কিছুদিন অঅগে সৈকত জলে ভেসে আসা একটি হীরার আংটি পেয়েছে এক ব্যক্তি। সেটা বিক্রি করে সে কিছু টাকা পেয়েছে। তাই আমরাও স্বর্ণ খুঁজতে সৈকতে আসি৷

অাবার অনেকে বলছেন- একজন দু’জন হয়তো পেয়েছেন। এরপর মুখে মুখে গল্প শুনে চলে আসছেন সবাই। এদিকে সৈকত জলে স্বর্ণ ভেসে আসার বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছেন না পরিবেশবাদীরা। সেব দ্যা নেচার অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আ.ন.ম মোয়াজ্জেম হোসাইন জানান-তিনি গত কয়েকদিন আগে বিষয়টি স্থানীয় কয়েকজন টুরিস্ট পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে জেনেছেন। তিনি জানান-বঙ্গোপসাগরে অনেক ধরনের সম্পদ রয়েছে। শুধু গহনা নয় স্বর্ণের রেণুও থাকতে পারে সৈকতে। এদিকে টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান সোমবার দুপুরে জানান-কিছু কিছু লোক আছে যারা প্রতিদিন সৈকতের বালিয়াড়ি ও জলে স্বর্ণ খুঁজে। কিন্তু পায় না, মাঝে মধ্যে হয়তো পায়।