ফাইল ছবি

মোঃ আকিব বিন জাকের, উত্তর মহেশখালী :

নমুনা প্রদানের দুর্ভোগ এড়াতে মহেশখালী উপজেলার উত্তরপ্রান্তে নমুনা বুথ স্থাপনের দাবী জানিয়েছে উপজেলার উত্তর প্রান্তের সর্বস্তরের জনসাধারণ।

কক্সবাজার জেলার পাহাড় বেষ্টিত দ্বীপ মহেশখালী। যেখানে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের বসবাস। কিন্তু পুরো উপজেলাজুড়ে রয়েছে কেবল একটি নমুনা বুথ। তথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তাও আবার উপজেলার সর্ব দক্ষিণ প্রান্তে!

যার কারণে কালারমারছড়া, শাপলাপুর, মাতারবাড়ি এবং ধলঘাটা ইউনিয়নে বসবাসরত মানুষদের নমুনা টেস্ট করাতে যেতে হচ্ছে সরাসরি উপজেলার সর্ব দক্ষিণে তথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। যা গড়ে প্রায় ১৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। কেননা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে কেবল দুজন টেকনোলজিস্ট। তন্মধ্যে আবার একজন করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন(আব্দুল হালিম)। যার কারণে একজনের(হেলালী)পক্ষে উপজেলার দূর দূরান্তে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যার মূল‍্য দিতে হচ্ছে অধিক লক্ষণ উপসর্গ বহনকারী রোগীদের। কেননা অনেকেই জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট কিংবা অন‍্য কোনো লক্ষণ উপসর্গে তীব্রভাবে ভোগার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নমুনা প্রদানে অক্ষম। নমুনা দিতে না পারায়, শনাক্তকরণও সম্ভব হচ্ছেনা করোনা রোগীদের। সম্ভব হচ্ছেনা রোগ শনাক্তপূর্বক পরিপূর্ণ চিকিৎসা গ্রহণ এবং ভাইরাসের বিস্তার রোধ। অজান্তেই ছড়িয়ে যাচ্ছে ভাইরাস। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিক মৃত্যুর ন‍্যায় অজান্তেই মৃত্যু বরণ করছেন অনেকে। এনিয়ে সংক্রমণের আশংকায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ।

এনিয়ে কয়েকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং অনেককেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে -উপজেলার উত্তরপ্রান্তে নমুনা বুথ স্থাপনের দাবী তুলতেও দেখা যায়।

এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা.মাহফুজুল হক জানান,
লোকবলের সংকটের কারণে আমরা ইচ্ছে এবং প্রয়োজন থাকা সত্বেও উপজেলার উত্তরপ্রান্তে নমুনা বুথ স্থাপন করতে পারছিনা।”