বাসস :

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি স্ফুলিঙ্গের নাম। আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র ক্ষমতায় থেকে জনগণের কল্যাণ করেছে তা নয়, ৭১ বছরের পথ চলায় বেশির ভাগ সময়ই দলটি ক্ষমতায় ছিল না, তখনও আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে।
তিনি আজ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের পক্ষে পুষ্পিত শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে দিবসটি উপলক্ষে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সময় একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৪৯ সালের এই দিনে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ গণমানুষের মধ্য থেকে গড়ে ওঠা একটি দল এবং বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনের সাথে আওয়ামী লীগের নাম জড়িয়ে আছে। আর সবচাইতে বড় অর্জন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
ড. হাছান বলেন,“১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করে, তখন ভাষাদিবস সরকারিভাবে পালন করা হয়। পাকিস্তানের প্রথম সংবিধানও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রচিত হয়েছিল।”
‘বঙ্গবন্ধুকে যদি স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সপরিবারে হত্যা করা না হতো কয়েক দশক আগেই আমরা দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়ার চেয়ে অনেক উন্নত রাষ্ট্র থাকতে পারতাম’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা যার রক্তে বঙ্গবন্ধুর রক্তে স্ত্রোত বহমান তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে অদ্যম গতিতে এগিয়ে চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবার পথে, ১৯৫০ সালের খাদ্য ঘাটতির জনপদ আজ খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ, গত সাড়ে ১১ বছরে মানুষের মাথাপিছু আয় সাড়ে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, দারিদ্র্য নেমে এসেছে অর্ধেকে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী জননেত্রী’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে এ দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, মৃত্যুঞ্জয়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের মাধ্যমে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সামনে কি চ্যালেঞ্জ রয়েছে এ প্রশ্নের উত্তরে ড. হাছান বলেন, ‘ গত ৭১ বছর ধরে আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে এসেছে। এটি দুঃখজনক যে, স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর এখনো আমাদেরকে স্বাধীনতার পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তি নিয়ে কথা বলতে হয়। একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি এখনো তাদের সহযোগী স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি জামাতে ইসলামীর পৃষ্ঠপোষকতা করে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িকতাকে ভূলন্ঠিত করে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ রচিত হয়েছিল। কিন্তু আজও এদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানো হয়, আমাদের অগ্রগতিকে থামিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চলে। এগুলো অতিক্রম করাই আমাদের চলার পথের চ্যালেঞ্জ।

– ঢাকা, ২৩ জুন ,২০২০