সিবিএন ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর দিক দিয়ে এশিয়ায় এখন বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। প্রথম অবস্থানে ভারত। এর পরের অবস্থানে পাকিস্তান। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এশিয়ায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের অবস্থান পুরো বিশ্বে ১৭তম।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন হাজার ২৪৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দেশে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ৫ হাজার ৫৩৫ জন। আর ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ৩৮৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৭৮১ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪২ হাজার ৯৪৫ জন।
শুক্রবার (১৯ জুন) বেলা আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।

ভারতে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা তিন লাখ ৮১ হাজার ৪৮৫ জন। আর মারা গেছেন ১২ হাজার ৬০৫ জন। পাকিস্তানে শনাক্তের সংখ্যা এক লাখ ৬৫ হাজার ৬২ জন। আর মারা গেছেন চার হাজার ৯৪৪ জন।

নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নুমনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ৩২৭টি। এরমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৪৫টি। এ নিয়ে মোট পরীক্ষা হলো পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৮টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় যাদের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন, নারী ১৩ জন। বয়স বিভাজনে ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে চার জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে চার জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিন জন।

বিভাগ অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬ জন, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে দুই জন করে, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে একজন করে এবং ময়মনসিংহ বিভাগে চার জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩১ জন আর বাড়িতে মারা গেছেন ১৪ জন।

২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৬৮৪ জন, মুক্ত হয়েছেন ২৩৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে যান ১৮ হাজার ৫৫৫ জন এবং ছাড় পেয়েছেন সাত হাজার ৮১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ৪৭৪ জন।

২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে দুই হাজার ৫৮৫ জনকে। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন পালন করেছেন তিন লাখ ৩৫ হাজার ২২৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৩ হাজার ৫৪ জন।

তথ্য জানানোর পর বুলেটিন শেষ করার আগে অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘সতর্ক থাকি, সচেতন থাকি। নিজেকে এবং পরিবারের সব সদস্যকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যা যা ব্যবস্থা, যেমন- মাস্ক পরা, বারবার সাবান পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এগুলো মেনে চলতে হবে।’