অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী ছড়িযে পড়া করোনাভাইরাসে দিন দিন অপরিচিত হয়ে উঠছে আমাদের চিরচেনা পৃথিবী। দূরে সরে যাচ্ছে একান্ত আপনজনরাও। নির্মমতায় ভরে উঠছে সমাজ।
এইতো সম্প্রতি করোনায় মৃত লাশ নিয়ে ঘটে গেল কত সব নির্মমতা। মানুষের হৃদয়ে সন্তানের প্রতিও কী ভয়ংকর নিষ্ঠুরতা ও নির্মমতা লুকিয়ে থাকে করোনার কারণে এবার তা প্রকাশ পেল। জন্মদাতা মা বাবা করোনায় আক্রান্ত সন্তানকে ফেলে গেলেন বাঁশঝাড়ে।
ওই কিশোরের নাম রাকিব। সে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের কাওসার শেখের ছেলে।
তার জন্মদাতা মা-বাবা গভীর রাতে তাকে এ বাঁশঝাড়ে রেখে যায়। শুধুমাত্র কিছু টাকা ,পানি এবং পাউরুটি দিয়ে রাতের অন্ধকারে ফেলে গেলেন নিজের সন্তানকে।
প্রতিদিনের মত ফজরের নামাজ শেষ করে হাঁটছিলেন এক বৃদ্ধ মা। হঠাৎ দূরে কাপড় মোড়ানো একটা জিনিস তার চোখে পড়ল। তিনি সেখানে গিয়ে দেখতে পেলেন একজন কিশোর মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে। পরে তিনি প্রতিবেশীদের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করেন।
পরে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সহযোগিতায় দ্রুত এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসে ১৪ বছরের এই বালক কে নেয়া হয় কাশিয়ানী হাসপাতালে। ছেলেটি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।