মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

রেববার ২৪মে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ২জন রোহিঙ্গা শরনার্থীর স্যাম্পল টেস্টে ২জনেরই ‘নেগেটিভ’ রিপোর্ট পাওয়া যায়। এছাড়া একইদিন রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের হাসপাতাল গুলোর মাধ্যমে আরো ৪ জন স্থানীয় নাগরিকের স্যাম্পল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে টেস্টে পাঠানো হয়েছিলো। এই ৪জনের রিপোর্টও ‘নেগেটিভ’ পাওয়া যায়।

বিষয়টি কক্সবাজার আরআরআরসি অফিসের স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু তোহা এম আর ভূঁইয়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবের উদ্বৃতি দিয়ে সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়া কোন রোহিঙ্গা করোনা রোগী সুস্থ হয়নি।

রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প গুলোতে ২২মে পর্যন্ত মোট ২১জন রোহিঙ্গা শরনার্থী (Forcibly displaced myanmar Nations-বলপূবর্ক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এসব করোনা ভাইরাস আক্রান্ত আক্রান্ত হওয়া রোহিঙ্গা রোগীর সংম্পৃক্ত থাকা প্রায় ১৭হাজার রোহিঙ্গা শরনার্থীর বাড়িঘর লকডাউন (Lockdown) করে দেওয়া হয়েছে। লকডাউনে থাকা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। তারা যেখানে ছিলো সেখান থেকে অন্য কোথাও আসা যাওয়া করতে দেওয়া হচ্ছেনা।

আরআরআরসি অফিসের স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু তোহা এম আর ভূঁইয়া আরো জানান, ২৪মে পর্যন্ত ৩০৬ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী ও ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্যাম্পল টেস্ট করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, করোনা আক্রান্ত সকল রোগীকে ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প থেকে পৃথক করে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে স্থাপিত আইসোলেশন হাসপাতালে এনে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এসব করোনা রোগীর সাথে সম্পৃক্ত থাকা অন্যান্যদের খুঁজে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে করোনা ভাইরাসের স্যাম্পল টেস্টের রিপোর্ট গত ২১মে থেকে পৃথক ২টি ভাগে দেওয়া হচ্ছে। ৩৪টি ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের (Forcibly displaced myanmar Nations-বলপূবর্ক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক) করোনা ভাইরাসের স্যাম্পল টেস্টের রিপোর্ট প্রতিদিন প্রথম দফে দেওয়া হচ্ছে। কারণ তারা বাংলাদেশের নাগরিক নয়।

আর কক্সবাজারের বাসিন্দা সহ বাংলাদেশের নাগরিকদের করোনা ভাইরাসের স্যাম্পল টেস্টের রিপোর্ট দ্বিতীয় দফে দেওয়া হচ্ছে।

একইভাবে এখন থেকে করোনার স্যাম্পল টেস্ট, সুস্থ রোগী, করোনায় মৃত্যু, চিকিৎসাধীন রোগী, মোট করোনা রোগীর সংখ্যা সবকিছু রোহিঙ্গা শরনার্থী ও কক্সবাজারের নাগরিকদের জন্য পৃথকভাবে পরিসংখ্যান করা হচ্ছে বলে সুত্রটি জানিয়েছেন।