সিবিএন ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগে দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৩৫১ জন পুলিশ সদস্য প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে করোনার এ যুদ্ধে জয়ী হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৭২২ পুলিশ সদস্য। এদের অনেকেই আবার কাজেও যোগদান করেছেন। ভাইরাসটি এ পর্যন্ত ১২ পুলিশ সদস্যের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।

পুলিশ সদর দফতর বলছে, উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করায় দিন দিন সুস্থ হয়ে উঠছেন করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে শুক্রবার (২২ মে) রাতে আরও ১২১ পুলিশ সদস্যকে সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয়।

কোভিড-১৯ চিকিৎসা প্রটোকল অনুযায়ী, সুস্থ হয়ে ফিরে যাওয়া পুলিশ সদস্যের নমুনা পরপর দু’বার পরীক্ষা করা হয়। উভয় পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসায় চিকিৎসকরা তাদের করোনামুক্ত ও সুস্থ ঘোষণা করে হাসপাতাল ত্যাগের ছাড়পত্র দেন।

পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন এবং বাহিনীর সদস্যদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন।

আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা ও সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কয়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিমের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের পাশে যাচ্ছেন, তাদের সাথে কথা বলছেন, স্বাস্থ্যের খোঁজ নিচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর।

কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল ছাড়াও রাজধানী ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধাসম্পন্ন বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।

পুলিশের সুরক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, ‘মাঠে নিয়োজিত সদস্যরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও সুরক্ষিত থাকতে পারেন, সেজন্য সচেতনতার পাশাপাশি সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি জানানো হচ্ছে। সিনিয়র অফিসাররাও বিভিন্ন ইউনিটে গিয়ে তাদের সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলছেন। সুরক্ষা সামগ্রী ও পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে।’