সিবিএন:
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম দুই দিন আগেও ছিল ১৪০ টাকা। মধ্যখানে একটি রাত পেরুতেই কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা। অনেক দোকানে ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি। এক দোকানের সাথে মিল নেই অন্য দোকানের।
সমানতালে বাড়িয়ে নেয়া হচ্ছে গরু-ছাগল-মহিষের মাংসের দামও।
মুরগি ও মাংসের বাজারে যেন নেই কোন নিয়ন্ত্রক। সব ধরণের মাছের বাজারেও আগুন লেগেছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঝেমধ্যে প্রশাসন অভিযান চালালেও অসাধু ব্যবসায়ীদের লাগাম টানা যাচ্ছে না।
তবে বিক্রেতাদের দাবী, গরু-মুরগির যোগান ক্রমেই কমে গেছে। মিলছে না। তাই দাম বাড়তি নিতে হচ্ছে।
দু’য়েকদিন পরে দাম আরো বাড়তে পারে বলেও দাবী তাদের।
শুক্রবার (১৫ মে) শহরের বড়বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুরগির মাংসের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।
গত সপ্তাহের তুলনায় আজ কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি লেয়ার ২৬০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৮০ থেকে ২০০-২২০ টাকা। কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, প্রতিকেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫৫০ টাকা।
এছাড়া গরু ও মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা ও খাসির মাংস ৮০০ টাকা দরে।
অপরিবর্তিত আছে শাক-সবজি, মাছ, মাংস ও ডিমের দাম। সামনে রোজার ঈদ থাকায় অনেকেই এখন মুরগি কিনে রাখছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার এর সহকারী পরিচালক মোঃ ইমরান হোসাইন বলেন, পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গণসচেতনতামূলক প্রচারণার পাশাপাশি অভিযানও চালানো হচ্ছে। তবু নির্দেশনা অমান্যকারীদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করছে প্রশাসন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।