সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
করোনা পরিস্থিতিতে কক্সবাজারে আটকা পড়েছে বেশকিছু সাধারণ শিক্ষার্থী। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে তারা নিজ এলাকায় না গিয়ে কক্সবাজারেই থেকে যায়।

কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অধ্যায়নরত দেশের বিভিন্ন স্থানের ২৫ জন শিক্ষার্থী সঙ্কটে পড়ায় তাদের পাশে দাড়িয়েছে কক্সবাজার ছাত্রলীগ।

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশন ডিপার্টমেন্টের ছাত্র নাশিত কাওসার তানভীরের বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। সে করোনা পরিস্থিতির শুরুতে ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে গেলেও বাড়ি যায়নি৷
সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে ভেবেছিলো তানভীর তাছাড়া বাড়ি গেলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে এই ভেবে সে বাড়ি যায়নি ৷ তার মতো আরো ২৪ জন আছে যাদের বাড়ি রংপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা ও নাটোর। এরা সবাই পৃথক ৫টা মেসে কক্সবাজার থাকে। করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে টাকা পাঠানো সম্ভব না হওয়ায় তারা সমস্যায় পড়ে যায়।

তাদের এই সঙ্কটের কথা জেনে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মইন উদ্দীন প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও রমজানের উপহার নিয়ে তাদের কাছে পৌঁছে দেয়৷

তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ১০ জন শিক্ষার্থীর বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয় এই ছাত্রনেতা।

কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বেশ ক’জন ছাত্র বাসা ভাড়া নিয়ে কলাতলী এলাকায় মেস করে থাকে৷ করোনা পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে বাসা ভাড়া দেয়া সম্ভব হচ্ছিলো না। বিষয়টি বাড়ির মালিকের সাথে কথা বলে সুন্দর সমাধান করে দেয় ছাত্রলীগ।

এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সরকারি কলেজ, সিটি কলেজ ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ২০০ জনের বেশি অসহায় ছাত্রের পরিবারকে নিরবে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয় ছাত্রলীগ নেতা মইন উদ্দীন। সরকারি ত্রাণ সুষ্ঠুভাবে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতেও কাজ করছে তারা।

এই মানবিক সঙ্কটে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনামতো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে সাধারণ ছাত্রদের পাশে থাকতে পেরে আনন্দিত বলে জানান ছাত্রলীগ নেতা মইন উদ্দীন।