আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনে উৎপত্তি হলেও মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত দেশগুলোর একটি হলো ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৮ হাজার মানুষ কোভিড-১৯ রোগে মারা গেছেন। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে ইতালিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটা কমেছে। যেমন; আজ দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ২৮৫, গতকালও যা ছিল ৩২৩ জন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইতালির সিভিল প্রটেকশন এজেন্সি আজ বৃহস্পতিবার করোনা নিয়ে তাদের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টাও আরও ২৮৫ জনের মৃত্যুর পর দেশে এখন করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৭ হাজার ৯৬৭। নতুন আক্রান্ত ১ হাজার ৮৭২ জন; যা গতকালের ২ হাজার ৮৬ জনের তুলনায় কম।

তবে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও মহামারি করোনাভাইরাসে মৃত্যুর দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের পরপরই ইতালির অবস্থান। দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন ২ লাখ ৫ হাজারের বেশি। তবে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার আক্রান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ১০ লাখ ৭৫ হাজারের পরে রয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ স্পেন।

তবে দেশটির দুই লক্ষাধিক আক্রান্তের মধ্যে ৭৫ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী চিকিৎসা শেষে এখন সুস্থ। এছাড়া আরেকটি খবর হলো আক্রান্ত অবস্থায় থাকা রোগীর সংখ্যাও কমেছে ইতালিতে। বুধবার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৪ হাজার ৬৫৭ জন থাকলেও আজ বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৫৫১ জনে।

করোনার বিস্তার ঠেকাতে সাত সপ্তাহের বেশি সময় আগে লকডাউন ঘোষণা করেছিল ইতালি। কিন্তু সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে আসায় জারি থাকা কঠোর লকডাউন শিথিল করার বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী তার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

বিবিসি প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তে বলেন, ৪ মে থেকে কড়াকড়ি শিথিল করা হবে। সীমিত পরিসরে লোকজনকে তাদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হবে। খুলে দেওয়া হবে পার্ক, কারখানা, ভবন। তবে সেপ্টেম্বর মাসের আগে স্কুলে ক্লাস শুরু হবে না।