মুহিববুল্লাহ মুহিব, সিবিএন :

বিশ্ব মহারমারী করোনা সংকটে কঠিন সময়ের মুখোমুখি কক্সবাজারে দেশের একমাত্র চিংড়ি হ্যাচারি শিল্প। এ দুর্যোগে ৫০টি হ্যাচারীর মধ্যে ৩০ টি সচল থাকলেও, উৎপাদিত পোনা সরবরাহ করতে না পারায় চরম বিপাকে পড়েছে মালিকরা।

শ্রিম্প হ্যাচারী অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (শ্যাব) জানিয়েছে,কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের পাশের হ্যাচারি জোন। যা দেশের একমাত্র চিংড়িপোনা উৎপাদনক্ষেত্র। যেখানে রয়েছে ৫৫টির বেশি হ্যাচারি। উৎপাদনে রয়েছে ৩০ টি হ্যাচারী।বর্তমান পরিস্থিতিতে ভবিষ্যৎ শঙ্কায় পোনা কিনছেন না চাষীরা। ফলে নষ্টের পথে ওই ৩০ হ্যাচারীর ২০০ কোটি পোনা। এ নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন হ্যাচারি মালিকরা।

সংগঠনটি আরও জানায়, এ ৩০ টি হ্যাচারী থেকে প্রথম ধাপে গেল জানুয়ারিতে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চলে সরবরাহ করা হয় ২০০ কোটি পোনা। তবে দ্বিতীয়ধাপে যোগান দেয়ার জন্য আরো ২০০ কোটি পোনা উৎপাদন করা হলেও সেগুলো নিচ্ছে না ক্রেতারা। ফলে এসব পোনা যেমন নষ্টের পথে। তেমনি ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তায় এ খাতের ৩ হাজার শ্রমিক।

হ্যাচারী মালিকরা বলছেন, বর্তমান দুর্যোগে উৎপাদন আর সরবরাহ দুটোই বাধাগ্রস্ত। ফলে ইতোমধ্যে উৎপাদিত ১০০ কোটি টাকার পোনাসহ ক্ষতি দাঁড়াবে কয়েকশ কোটি টাকা।অবশ্য, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি সহায়তার কথা বলছে মৎস্য কর্মকর্তা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান সিবিএনকে বলেন, সরকার যেভাবে অন্যান্য খাতে যেভাবে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছে সেভাবে এ খাতে হাত বাড়াবে। আমরা আশা করছি পোনা উৎপাদনকারী প্রতিষ্টানগুলো ক্ষতিরমূখে পড়বে না।

শ্রিম্প হ্যাচারী অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (শ্যাব) এর মহা-সচিব মো. নজিবুল ইসলাম সিবিএনকে বলেন, দেশে যে পরিমাণ পোনার চাহিদা রয়েছে তা উৎপাদনে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা মনে করছি এটি চিংড়ি উৎপাদনে বড় ধরণের বিপর্যয় ঘটবে। যেভাবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রসঙ্গত যে, চলতি বছর দেশে চাহিদা ধরা হয়েছে এক হাজার কোটি চিংড়ি পোনার। করোনা শঙ্কায় যা উৎপাদনে বড় ধরণের বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।