শাহেদ মিজান, সিবিএন:

মহেশখালী সংযোগ সেতুে মঙ্গলবার থেকে আটকা পড়া ৪৪টি পানবোজাই ট্রাক অবশেষ ছাড় দেয়া হয়েছে। শর্তসাপেক্ষে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলাম গাড়িগুলো ছাড় দেন। বিক্রি করে ফিরে পানের গাড়ির চালক-হেলপারসহ সাথে থাকা ব্যবসায়ীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারাইন্টাইনের শর্তে দেয়া হয়। ইউএনও আরেকটি দিয়েছেন, তাহলো- এখন থেকে চকরিয়ার বাইরের কোনো চালক ও গাড়ি মহেশখালীতে ঢুকেত পারবে না।

জানা গেছে, আটক করা পানের গাড়ির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার দুপুরের দিকে মহেশখালী সংযোগ সেতুতে এলাকায় পরিদর্শনের যান মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলাম এবং চকরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান। এছাড়াও মহেশখালী দায়িত্বরত নৌ বাহিনীর লে. কমান্ডার আসাদুজ্জামানসহ পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত হন। পানব্যবসায়ী সাথে আলাপ করে আপাতত সিদ্ধান্ত নেন গাড়িগুলো ছাড়া হবে।

সত্যতা নিশ্চিত করে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলাম জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে করণীয় কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রশাসনিক উদ্যোগে পান বিক্রির সিদ্ধান্ন হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত না মেনে চাষীয়রা পান ছিঁড়েছে এবং ব্যবসায়ীরা কিনেছে। তাই মঙ্গলবার মহেশখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া সব পানবোঝাই গাড়ি আটক রাখা হয়। পান পঁচনশীল হওয়ায় বুধবার ৩টার দিকে শর্তসাপেক্ষে গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়া হয়। তবে চালক-হেলপার এবং সাথে থাকা ব্যবসায়ীদের দেয়া হয়েছে শর্ত। তার মধ্যে পান বিক্রি করে ফিরে চালক-হেলপার এবং সাথে থাকা ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ১৪ দিনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারাইন্টাইনে নেয়া হবে এবং এখন থেকে মহেশখালীর বাইরের কোনো গাড়ি (পান পরিবহণে) মহেশখালী ঢুকতে দেয়া হবে না। এসব শর্তে রাজি হওয়ায় আটক রাখা ৪৪ গাড়ি ছাড় দেয়া হয়েছে।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলাম বলেন, মহেশখালীর অর্থনীতির প্রধান অঙ্গ পান এবং পঁচনশীল বস্তুও। দুই কারণে পান নিয়ে আমরা সবাই চিন্তিত। কিন্তু পানের বাজার থেকেই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি প্রবল হয়ে উঠেছে। দুই বিবেচনা করতে হবে। করোনা সংক্রমণ রোধের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করেই প্রশাসনিক উদ্যোগে পান রপ্তানি করার কার্যক্রম চলছে। ততক্ষণ পর্যন্ত চাষীদের ধৈর্য্য ধরতে আহ্বান জানাচ্ছি।