মুহিববুল্লাহ মুহিব, সিবিএন:

কক্সবাজারের পেকুয়ায় সরকারি বরাদ্দের ১৫ টন চাল গায়েবের অভিযোগে টৈটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) মধ্যরাতে মামলার বিষয়টি সিবিএনকে নিশ্চিত করেছেন পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আজম।

তিনি জানান, মামলায় টৈটং চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ্য করা হয়েছে। চাল গায়েবের বিষয়টি ও আসামীকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে তিনি লাইন কেটে দেন।

মামলার বাদী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানাযায়, পেকুয়ায় সরকারি বরাদ্দের ১৫ টন চালের কোন হদিস পাচ্ছে না প্রশাসন। উপজেলার টৈটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চাল উত্তোলণ করলেও বিতরণের কোন নথি জমা দেয়নি সংশ্লিষ্ট্য দফতরে। উল্টো এ বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসলে নিজেকে আড়াল করে আত্মগোপে রয়েছে সে।

সূত্রে আরও জানাযায়, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা থেকে ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই মানবিক সহায়তা হিসেবে ৪০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে ২৫ টন চাল বিলি করা হয়েছে। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর, রিকশাচালক ও অসহায় দুঃস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণের জন্য গত ৩১ মার্চ টৈটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী অনুকূলে ১৫ টন চাল উপ বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈকা সাহাদাত স্বাক্ষরিত ওই বরাদ্দকৃত চালের কোন হদিস মেলেনি এখনো।

ত্রাণের চাল গায়েবের বিষয়টি তদন্ত করতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আফসার পেকুয়ায় গিয়েছিলেন।

তদন্তের বিষয়ে মঙ্গলবার কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আফসারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সিবিএনকে বলেন, পেকুয়ায় গিয়ছিলাম। সরকারী ভাবে বরাদ্দের কাগজ বা নথি পেয়েছি। টৈটং চেয়ারম্যান দুই দফায় চাল উত্তোলন করেছেন। কিন্তু তিনি বিতরণের কোন তথ্য দেননি বা চাল গুলো কি করেছেন সে বিষয়ে এখনো কিছু জানানি।

তিনি আরও বলেন, টৈটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম আত্মগোপনে থাকায় তার সাথে কথা বলা যায়নি। চালের বিষয়ে এখন তিনি জানবেন। বাকিরা যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের নথি পেয়েছি। এখন শুধু মূল নায়ক চেয়ারম্যানেই বলতে পারবেন চাল কোথায়..?।