কামাল হোসেন, রামু :
রামুর কাউয়ারখোপে প্রথম সনাক্ত হওয়া করোনা রোগীর বসতবাড়িসহ আশপাশের আরো ৭টি বাড়ি, ৩টি দোকান, ১ টি মসজিদ লকডাউন করেছেন রামু উপজেলা প্রশাসন। করোনা রোগীর বাড়িটিও এর আগের দিন লকডাউন করেছিলেন প্রশাসন। বিষয়টি প্রতিবেদকের কাছে নিশ্চিত করেছেন কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ।

জানা যায়, সোমবার (২৭ এপ্রিল) কাউয়াখোপ ইউনিয়নের গাছুয়া পাড়া ৭ নং ওয়ার্ডের মৃত ছুরুত আলমের পুত্র সালেহ আহমদ(৩৬) এর শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। রিপোর্টটি কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব থকে বিকেলে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে রামু স্বাস্থ্য বিভাগ উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় করোনা রোগীকে তাৎক্ষণিক রামু আইসোলেশন ইউনিটে নিয়ে যায় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ সহ করোনা রোগীর আশপাশের ৭টি বাড়ি, ৩টি দোকান, ১ টি মসজিদ লকডাউন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লকডাউনকৃত ৭ টি বাড়িতে খাদ্যসামগ্রীও প্রদান করেন এবং সবসময় তাদের পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

প্রশাসনের কাছে দেয়া তত্বে সালেহ আহমদ জানান, সে চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকায় রিক্সা চালাতো। রবিবার (২৬ এপ্রিল) চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ থেকে শসা বহনকারি একটি পিকআপে করে চকরিয়া পর্যন্ত আসেন। তবে পিকআপে আর কেউ ছিলনা। চকরিয়া থেকে মেক্সিতে করে আসেন ঈদগাহ পর্যন্ত। আর ঈদগাহ থেকে টমটমে করে সরাসরি কাউয়ারখোপের গাছুয়া পাড়াস্থ তার বাড়িতে পৌঁছেন। ঈদগাহ থেকে ভাড়াকরা টমটমে তার জিনিসপত্র ছাড়া অন্য কিছু ছিলনা বলেও তিনি জানান। রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সালেহ আহমদের বাড়িতে ৩ ভাই, ৩ ভাইয়ের স্ত্রী ও তাদের ৮ সন্তানসহ মোট ১৪ জন সদস্য রয়েছে। মঙ্গলবার সকলের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হবে।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, সালেহ আহমদ রামুতে আসার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা তার নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠাই। ওই দিন উপজেলা প্রশাসন তার বাড়ি লকডাউন করেন। ২৭ এপ্রিল তার করোনা ভাইরাস সনাক্তের রিপোর্ট পজেটিভ হওয়ায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে তাকে রামুর আইসোলেশন ইউনিটে এনে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, রামু আইসোলেশন ইউনিটে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলার আরো ১০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা সকলেই মোটামুটি ভাল আছেন।