রফিক মাহমুদ, সিবিএন:
অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে না পেরে বাংলাদেশে চলে আসা রোহিঙ্গা বোঝাই জাহাজে থাকা ৩৯৬ জন রোহিঙ্গা ফিরেছে সাগর কূলে। ৫১৫ জনের মধ্যে বাকি ১১৯ জনের সলিল সমাধি হয়েছে গভীর সাগরে।
গত বুধবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১০ টার দিকে রোহিঙ্গা বোঝাই জাহাজটি টেকনাফ সাগর উপকূলে চলে আসে। জাহাজ থেকে উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সাগর বুকে ভেসে আসা এসব রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের ১৪ দিনের সঙ্গরোধে প্রাতিষ্টানিক (কোয়ারেন্টাইন) রাখতে ইতি মধ্যে সরকারি উচ্চপর্যায়ের কতৃপক্ষের সাথে জাতীসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর সাথে সিদান্ত হয়েছে। সিদান্ত অনুযায়ী ইউএনএইচসিআর এর কাছে হস্তনান্তর করা হয়েছে।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের বহনকারী জাহাজটি চলতি মাসের শুরুতে মালয়েশিয়ায় আটক করা হয়েছিল। পরে রোহিঙ্গাসহ জাহাজটিকে বাংলাদেশের দিকে ফেরত পাঠায় তারা।মালয়েশিয়া ফেরত উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশীরভাগই অসুস্থ রয়েছেন। কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে তাদের। তারা দীর্ঘদিন সাগরে অনাহারে ছিল। আর বিশ্বজুড়ে চলমান করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে তাদের কে ট্রানজিট পয়েন্টের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।
বৃহস্পতিবার(১৬ এপ্রিল)দুপুরে টেকনাফ কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার সোহেল রানা একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বুধবার রাত ১০ টার দিকে টেকনাফের শামলাপুর সাগর উপকূলে ভেসে আসে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারটি। সেখান থেকে কোস্টগার্ড ও বিজিবি-পুলিশের সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে। পরে তাদের টেকনাফের ট্রানজিট জেটিতে রাখা হয়েছিল। তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের জন্য ইউএনএইচসিআর কতৃপক্ষের কাছে হস্তনান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে তাদেরকে নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।