কামাল হোসেন, রামু :
কক্সবাজারের রামুতে এখনো পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী সনাক্ত হয়নি। এই রোগের উপসর্গ নিয়েও হাসপাতালে ভর্তি হয়নি কোন রোগী। তবুও বিষয়টিকে হেলা না করে রামু স্বাস্থ্য বিভাগ অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কতৃপক্ষ। দেখা যায়, প্রতিদিন পরিচ্ছন্ন কর্মীর মাধ্যমে জীবানু নাশক ঔষধ ছিটিয়ে হাসপাতালকে পরিচ্ছন্ন রাখা হচ্ছে। লিফলেট বিতরণ করে জনসাধারণের কাছে সতর্কতার বার্তা পৌঁছেনো হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে দক্ষ মেডিকেল টিম এবং তাদের জন্য মজুদ রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম। স্বাস্থ্যকর্মী সহ সেবা নিতে আসা সবার জন্য হাসপাতালের বাইরে রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত হাত ধোঁয়ার পানি, হ্যান্ড ওয়াশ,স্যানিটাইজার। বিদেশ ফেরত ব্যাক্তিদের কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করতে তাদেরকে কটুর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। কোয়ারান্টাইন না মানলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় কাউকে কাউকে জরিমানা করতেও দেখা যায়।
সাপ্তাহ দুয়েক আগে দক্ষিণ মিঠাছড়িতে করোনা সন্দেহভাজন এক রোগীর সন্ধান পাওয়া গেলে হাসপাতালের একটি টিম ওই রোগীর বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠালে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এখন (৩ এপ্রিল) থেকে কক্সবাজারে চালু হয়েছে করোনা ভাইরাস সনাক্তের পরীক্ষা।

রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.নোবেল কুমার বড়ুয়া প্রতিবেদককে জানান,করোনা নিয়ে বাংলাদেশ বতর্মানে কঠিন সময় পার করছে। দিন দিন বড়ছে রোগীর সংখ্যা। যেকোন মূহুর্তে আমাদের দিকে হানা দিতে পারে। তাই রামুতে করোনা রোগী পাওয়া না গেলও আমরা অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে রামুতে ৫০,চকরিয়ায় ৫০ মোট ১০০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট স্থাপনা করা হয়েছে। রামুসহ পুরো কক্সবাজার জেলার করোনায় আক্রান্ত রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দিতে পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত রয়েছি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত উপকরণ চলে এসেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন উপজেলার ডাক্তার, নার্স নিয়ে গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত ডাক্তার ও নার্স রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জরুরী চিকিৎসায় স্থানান্তরের জন্য পৃথক দুইটি এ্যাম্বুলেন্সও রাখা হয়েছে।

রামু উপজেলায় মোট ২৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। উক্ত ২৮ জনের মধ্যে ২৬ জনের ইতিমধ্যে ১৪ দিন পূর্ণ হয়েছে। এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রকৃত সংখ্যা হলো ২ জন। আমরা তাদেরকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রেখেছি।

এদিকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ভবনে প্রস্তুতকৃত ৫০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিটে এখনো পর্যন্ত কোনো রোগী ভর্তি হয়নি বলেও তিনি প্রতিবেদকে নিশ্চিত করেছেন।