জাহাঙ্গীর আলম শামস:
করোনা পরিস্থিতিতে অঘোষিত লকডাউন পালিত হচ্ছে দেশব্যাপী। কক্সবাজারসহ সারা দেশের প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে এসব সড়ক প্রায় জনশূন্য। তবে শহর ও গ্রামের অলিগলিতে লোক সমাগম হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাড়ির বাহিরে বের হচ্ছে কেউ কেউ।
তবে, মানুষকে ঘরমুখি করতে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে সেনা বািহনী।
কক্সবাজার শহরে লালদীঘির পাড়, নিউমার্কেট, বার্মিজ স্কুল, খরুস্কুল রাস্তার মাথা, আলীর জাহাঁল, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, পাওয়ার হাউজ, লিংরোড খরুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা ফাঁকা দেখা গেছে। যানবাহন তেমন চলেছ না।
কক্সবাজার-চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন প্রধান সড়কে মাঝে মাঝে দুএকটি মালবাহী গাড়ি, ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার এবং মোটর সাইকেল চলতে দেখা যাচ্ছে। তবে তুলনামূলকভাবে ইজিবাইক (টমটমের)সংখ্যা বেশি। খোলা রয়েছে নিত্যপন্য, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান।
সড়কে গাড়ি চলাচলে কঠোরতায় লোক সমাগম কম হলেও বিভিন্ন অলিগলিতে লোক চলাচল ছিল চোখে পড়ার মত। কেউ বাজার করতে আবার কেউ জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছেন। আবার কেউ কেউ আড্ডা দিতে বের হয়েছেন। কক্সবাজার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল গাড়ি আসলেই ফাঁকা হচ্ছে। চলে গেলেই আগের অবস্থা।
সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলায় জরিমানার বিধান, জরুরী সেবা প্রতিষ্ঠানা ছাড়া দোকানপাট খোলা রাখার উপর কড়াকড়ি করা হচ্ছে।কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা সঠিকভাবে বাড়িতে অবস্থান করছে কিনা সেদিকে নজর রাখছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, মানুষদেরকে ঘরে থাকতে সর্বোচ্চ প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছিয়ে দিচ্ছি। তবু অনর্থক ঘুরাফেরা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।