কামাল হোসেন,রামু (কক্সবাজার) :

রামু উপজেলার ১১ ইউনিয়নে করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন ও হতদরিদ্র পরিবারের ঘরে ঘরে ত্রাণ নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শুধুমাত্র করোনা মোকাবিলায় মানুষকে ঘরের মধ্যে রাখতেই এই পরিকল্পনা। তাই করোনা মোকাবিলায় সবাইকে ঘরে থাকার আহবান জানান তিনি। এই পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৩ শত ৫০ পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। গত ৩০ মার্চ থেকে শুরু করে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৫ দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিটি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় ঘরে ঘরে এবং কর্মহীন মানুষের কাছে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা।

জানা যায়, গত ৩০ মার্চ ঈদগড়, রশিদনগর, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন ৩১ মার্চ খুনিয়াপালং, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন এবং ১ এপ্রিল জোয়ারিয়ানালা, রশিদনগর, রাজারকুল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় ১৪০০ কর্মহীন ও হতদরিদ্র পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এরপর ২ এপ্রিল কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়া ও ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নে ৫ শতাধিক পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এনিয়ে গত ৪ দিনে ১১ ইউনিয়নে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় ২ হাজার পরিবারে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

অনেকে বলছে চাহিদার তুলনায় এই ত্রাণ পর্যাপ্ত নয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান চলমান পরিস্থিতিতে এই কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। বিচলিত হওয়ার কারন নেই।

আজ ৩ এপ্রিল (শুক্রবার) নতুন করে আরো ২ ইউনিয়ন রাজাকুল ও দক্ষিণ মিঠাছড়ির প্রত্যন্ত এলাকায় ঘরে ঘরে এবং কর্মহীন প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক মানুষের কাছে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন ইউএনও।

ত্রান সামগ্রী বিতরণ কালে স্ব স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, প্রশাসনের কর্মকর্তা, এনএসআই প্রতিনিধি সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। ত্রাণ বিতরণ কালে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখা হয়।

ত্রাণ বিতরণ কালে সর্বসাধারনের উদ্দেশ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বার বার একটি কথায় বলছেন,”আপনারা ঘরে থাকুন । এই ভয়াবহ সময়ে ঘরে ভিতরেই আপনারা সব চেয়ে বেশি নিরাপদ। খাবারের চিন্তা আপনারা করবেন না। আমরা ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেবো”। সবাইকে ধর্য্য ধারনের অনুরুধ করেন। তিনি জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আরো সক্রিয় ভুমিকা আাশা করে বলন, “আপনারা সরকারি ত্রানের দিকে চেয়ে না থেকে সমাজের বিত্তশালীদের নিয়ে তহবিল ঘটন করে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ান।”