প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

বর্তমান বিশ্বে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত একটি বহুল আলোচিত রোগ করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসের থাবা ক্রমশ গ্রাস করছে গোটা পৃথিবীকে। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভয়ানক ছোঁয়াচে করোনা ভাইরাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণার পর বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য জরুরি অবস্থা জারি করছে। এখন এই রোগের বিরুদ্ধে চলছে মানুষের সচেতনতার যুদ্ধ। আমাদের নিজের পরিবার এবং দেশের স্বার্থে প্রয়োজন সর্বাত্মক সচেতনতা এবং সতর্কতা। কারণ সচেতনতাই আমাদের সুরক্ষিত রাখবে, সুরক্ষিত রাখবে আমাদের পরিবারকে। কিন্তু দেশের প্রান্তিক মানুষেরা করোনা সম্পর্কিত সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কেও ততটা সচেতন নয়। তাই দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে কিছু পদক্ষেপ ও কার্যক্রম।

ইত্যাদির উদ্যোগে এই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন ইত্যাদিতে বিভিন্ন সময়ে প্রদর্শিত জনকল্যাণে নিয়োজিত প্রচার বিমুখ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা। সেই ব্যক্তিদের কাতারে ইত্যাদি নির্বাচিত একজন কক্সবাজার সদরের ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের শিক্ষক নূরুল ইসলাম।

ইত্যাদির উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারে সতর্কতামূলক প্রচারণা চালিয়েছেন শিক্ষক নূরুল। ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল তিনি কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সতর্কতামূলক প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশেষ প্রয়োজনে বের হয়ে দেখলাম, অনেক জনসাধারণ, এর মধ্যে আমার শিক্ষার্থীদেরও কাউকে কাউকে দেখলাম পথে-ঘাটে ঘুরছে, অনেকে আবার দল বেঁধে খেলায় মত্ত। তাছাড়া গ্রামের বাজারগুলোর চায়ের দোকানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম না মেনে চলছে চা খাওয়া, আড্ডা দেওয়া, দল বেঁধে মোবাইলে গেম খেলা। মূলতঃ তাদের জন্যই ইত্যাদির উদ্যোগে আমার এই প্রচারণা কার্যক্রম।

২দিনের কার্যক্রম শেষে তিনি আরও জানান, সচেতনতা মূলক প্রচারণা চালাতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাজারের জনসমাগম দেখে মনে হলো – যেন চলছে ঈদের মৌসুম। ভীড়ে কিংবা স্থানে স্থানে যানজটে নাকাল মানুষের নেই কোন সামাজিক দূরত্ব মানা কিংবা করোনা দূর্যোগে রাষ্ট্রীয় নির্দেশনার সঠিক অনুসরণ! আমাদের বদলাতে হবে। নিজেদের স্বার্থেই আমাদের বিবেকবোধ জাগ্রত হোক। সবার মানবিকতা ও সচেতনতায় দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠুক প্রিয় বাংলাদেশ।

ভয়াল এ সময়ে দেশজুড়ে ইত্যাদি পরিবারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সর্বস্তরের সচেতন মানুষ।