মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

ভয়াবহ এক বৈশ্বিক মহামারীর নাম করোনা ভাইরাস (COVID-19)। এ ভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিশ্ব আজ কুপোকাত। ইতিমধ্যে ২ শতাধিক দেশকে হিংস্র ছোবল মেরেছে এই করোনা ভাইরাস (COVID-19)। মার্চের ৮ তারিখ থেকে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে আঘাত হানা শুরু করেছে। কেড়ে নিয়েছে ৫ জনের প্রাণ। আক্রান্ত প্রায় অর্ধ্বশত। এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকার করোনা ভাইরাস (COVID-19) জীবাণু বিষয়ে গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে। এই গবেষণা কাজে দেশের মেধাবী ২৭ জন জেনেটিক বিজ্ঞানীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই ২৭ জন গবেষকের একজন হওয়ার বিরল গৌরব অর্জন করেছেন কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের বটতলী গ্রামের বাসিন্দা আফরোজা আকতার তন্বী।

কক্সবাজারবাসীর গর্বের ধন আফরোজা আকতার তন্বী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে রেকর্ড সংখ্যক মার্ক নিয়ে।

এরপর কর্মজীবনের শুরুটা হয় ঢাকা শিশু হাসপাতালে জুনিয়র জেনেটিক বিজ্ঞানী হিসাবে। ঢাকা শিশু হাসপাতালে তিনি শিশুদের নিউমোনিয়া এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিষয়ে স্নাতকোত্তর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। সেখানে তাঁর অসামান্য সফলতাই তাঁকে করোনা ভাইরাস (COVID-19) জীবাণু বিষয়ে গবেষণার কাজে সরকার নিয়োগ দেন।আফরোজা আকতার তন্বী করোনার ভাইরাস কোভিড -১৯ সংক্রামিত রোগীদের রোগের ধরণ নির্ণয়ের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করবেন। এর আগে আফরোজা আকতার তন্বী বিশ্বের নামীদামী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন সফলতার সাথে। নিজেকে গড়ে তুলেছেন একজন সফল ও দূরদর্শী জিন বিজ্ঞানী হিসাবে। এর ধারাবাহিকতায় আফরোজা আকতার তন্বী নাভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রামিত রোগীদের নিয়ে এই ভাইরাসের উৎস, সংক্রামনের প্রক্রিয়া, প্রতিরোধ ও চিকিৎসার উপায় নিয়ে সরকারের নিরবিচ্ছিন্ন গবেষণা কাজে যুক্ত থাকবেন।

বিস্ময়কর প্রতিভাসম্পন্ন, তরুণ জেনেটিক বিজ্ঞানী আফরোজা আকতার তন্বী উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের বটতলী গ্রামের মৃত হাজী উলা মিয়া সওদাগর ও দিলজার বেগমের কনিষ্ঠ কন্যা। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ঠিকাদার ফরিদুল আলম, উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মকবুল হোসেন মিথুন, রাজাপালং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর ফরিদ নিঝুম ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য খুরশিদা বেগমের বোন।