ইমাম খাইর, সিবিএন
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা রোগী মুসলিমা খাতুন (৭৫)এর বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত নিয়ে গেল রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে একজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে যান।
পঞ্চম তলায় করোনা রোগির জন্য নির্ধারিত কক্ষের নিরাপদ দূরত্বে থেকে রোগি ও তার নিকটাত্নীয়দের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন।

এ সময় আরো ৫ জন মতো লোক ছিলেন। তবে, কারো নাম পদবী জানা সম্ভব হয় নি।

কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)কে মুঠোফোনে এ খবর দিয়েছেন রোগির সঙ্গে থাকা মেয়ে সাফিয়া খাতুন।

তবে, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমানের কাছে এ সংক্রান্ত কোন তথ্য নেই।

খোঁজ নিতে আসা আইইডিসিআর কর্মকর্তার নাম; সঙ্গে আর কারা ছিল ইত্যাদি জানতে চাইলে সিভিল সার্জন বলেন, ‘হাসপাতালে আমি যাই নি। আমাকে অবগত করা হয়েছিল মাত্র। পরিদর্শনে কে গিয়েছিলেন, নাম জানি না। সঙ্গে আর কে কে ছিলেন তাও জানা নেই।’

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরীর নিকট জানতে চাইলে বলেন, ‘এ সংক্রান্ত কোন তথ্য আমার কাছে জানা নেই।’

এরপর তত্ত্বাবধায় ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য জানতে ফোন করলে পাওয়া যায় নি।

মুসলিমা খাতুনের মেয়ে সাফিয়া খাতুন বলেন, ‘৫/৬ জনের একটি টিম আমাদের সবার নাম ঠিকানা নেয়। আম্মু কখন থেকে অসুস্থ, কার কার বাসায় ছিলেন, পরিবারে আর কেউ অসুস্থ কিনা? এসব বিষয়ে নোট নেন। বড় ভাইয়ের সাথেও দেখা করে কথা বলেছেন বলে জেনেছি। আম্মু সুস্থ হবেন, কোন টেনশন না করতে বলেন খোঁজ নিয়ে আসা ওই কর্মকর্তা।’

উল্লেখ্য, জেলার প্রথম করোনা ধরা পড়া মুসলিমা খাতুন চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মরহুম রশিদ আহমদের স্ত্রী। ৫ ছেলের মধ্যে সবাই উচ্চশিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত। অধ্যক্ষ, আইনজীবী, ব্যাংকার সব তার ঘরেই। সরকারের একজন সিনিয়র সচিব করোনা আক্রান্ত মুসলিমার ভাগ্নে।

গত ১৩ মার্চ ওমরাহ শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেন মুসলিমা খাতুন।

১৮ মার্চ জ্বর, কাঁশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করার জন্য ২২ মার্চ ঢাকাস্থ আইইডিসিআরে নমুনা পাঠানো হয়েছিল।

২৪ মার্চ পাঠানো রিপোর্টে করোনা ভাইরাস পজেটিভ আসে।