মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার জেলা কারগারে আসা বৌদ্ধ ধর্মালম্বী মিয়ানমারের নাগরিক ৪৭ জন বন্দীর ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইন পিরিয়ডে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা যায়নি। তাদের করোনা কোয়ারান্টাইন পিরিয়ড গত ২৪ মার্চ শেষ হওয়ায় ২৫ মার্চ এ বৌদ্ধ ধর্মালম্বী ৪৭ জনকে কারাগারের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার জেলা কারাগারে যেসব নতুন বন্দী আসছে, তাদেরকে রাখার জন্য কারাগারের আমদানি ওয়ার্ডকে কোয়ারান্টাইন ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করে তাদেরকে গত ১৫ মার্চ থেকে সেখানে রাখা হচ্ছে। নতুন বন্দীদের মেডিকেল অফিসার দিয়ে পুরো শরীর চেক-আপ করে কোয়ারান্টাইন পিরিয়ড শেষে ওয়ার্ডে দেওয়া হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার ২৬ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা কারাগারে কোন বন্দীর শরীরে করোনা ভাইরাস লক্ষণ দেখা যায়নি। তাই কোন বন্দীর শরীরের স্যাম্পল টেস্ট করার জন্যও ঢাকার আইইডিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়নি।

কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মোঃ মোকাম্মেল হোসেন সিবিএন-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, ৫০০ জন বন্দীর ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন কক্সবাজার জেলা কারাগারে বৃহস্পতিবার ২৬ মার্চ ৪৪৩২ জন বন্দী রয়েছে। যার মধ্যে ২৬০ জন মহিলা কয়েদি। প্রায় ৯ গুন বেশী বন্দী নিয়ে এ মহা দুর্যোগকালে খুব সংকটে আছেন বলে জানান কক্সবাজার জেল সুপার মোঃ মোকাম্মেল হোসেন।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র চিকিৎসকের জন্য একটি পিপিই (পারসোনাল পটেক্টট ইকুইপমেন্ট) ড্রেস সরবরাহ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, গত সপ্তাহখানেকে ধরে খুব কম বন্দী জেল খানায় আসছে। প্রতিদিন ৫/৬ জনের বেশী বন্দী নয় বলে তিনি জানান। অপেক্ষাকৃত লঘু অপরাধ, লঘু শাস্তি পাওয়া, বয়স্ক, মহিলা ও শিশু, কিশোর বন্দীদের কারামুক্ত করে দেওয়ার ব্যাপারে কোন আদেশ এসেছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন কিছু জানেন না বলে জানান।

জেল সুপার মোঃ মোকাম্মেল হোসেন সিবিএন-কে আরো বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কারাগারের সর্বত্র গত এক সপ্তাহ ধরে জীবাণু নাশক ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। হাত ধোয়ার জন্য কারাগারের প্রতিটি ওয়ার্ডের সামনে এন্টিসেপ্টিক সাবান, পানির ট্যাংক সহ আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় সব কিছু বসানো হয়েছে। প্রতিটি বন্দীদের জন্য দিনে কমপক্ষে ৫ বার হাতধোয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি নির্দেশনা মতো বন্দীদের মাঝে সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে প্রতিদিন।