শাহেদ মিজান, সিবিএন:

কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৩) নামে এক কিশোরীর অসুস্থতার লক্ষণ নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছে তার পরিবার। ওই কিশোরী বর্তমান জ্বর, সর্দি, হাঁচি, কাশি ও তীব্র গলাব্যাথায় ভুগছেন। সাথে কিছুক্ষণ পর পর অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। তার পিতা ফরিদুল আলম এই তথ্য জানান।

পিতা ফরিদুল আলম জানান, পাঁচদিন আগে প্রথমে ঠান্ডা জনিত সর্দি হয় তার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের। সাথে সাথে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকে দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। ওষুধ সেবন করলেও রোগীর অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে শুরু করে। পরে গলা ব্যাথা ও প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। বর্তমানে কিছুক্ষণ পর পর অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো জানান, অনলাইন সেবাও নিয়েছেন দুইবার। কিন্তু কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, ডিজিটাল হাসপাতাল ও রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেও ভর্তি দেয়নি। ওষুধ লিখে দিয়ে ছাড়িয়ে দিয়েছে। হাসপাতাল থেকে লিখে দেয়া ওষুধ সেবন করেও কোনো উন্নতি হয়নি। এই মুহুর্তে রোগী নিয়ে তিনি ঘরেই অবস্থান করছেন বলে জানান।

ওই কিশোরীর পিতা ফরিদুল আলম বলেন, দেশের করোনা ভাইরাস নিয়ে যে অচল অবস্থা সৃষ্টি তা নিয়ে সবাই আতঙ্কিত। এই পরিস্থিতিতে আমার মেয়ের জ্বর,, সর্দি, হাঁচি, কাশি ও তীব্র গলাব্যাথা নিয়ে আমরা বেশ ভয়ে আছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মোঃ মাহবুবুুর রহমান বলেন, শুধু করোনা নয়; ঠাণ্ডাজনিত কারণে সৃষ্ট সর্দি থেকেও জ্বর,কাশি হতে পারে। এমনি গলাব্যাথাও হতে পারে। যেহেতু ওই কিশোরীকে সদর হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসক দেখিয়েছে তাহলে ওই কিশোরীর রোগটা অস্বাভাবিক নয়। করোনা লক্ষণ হলে চিকিৎসকেরা কখানো তাকে ছেড়ে দেবে না। অহেতুক ওই মেয়ে ও তার পরিবারকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই।