প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে কালাম আজাদের ‘কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু’। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০তম জন্মদিনেই প্রকাশিত হয়েছে বইটি। বইটির প্রকাশক বর্ণচাষ। পরিবেশক প্রকৃতি এবং বঙ্গবন্ধু স্টাডি সার্কেল কক্সবাজার।
‘কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু’ গবেষণাগ্রন্থের প্রকাশক মিফতায়ুর রহমান তায়েফ বলেন, কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু গ্রন্থটি কবি ও ইতিহাস গবেষক কালাম আজাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। এ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর কক্সবাজার সফর নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট গঠন ও যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় পর্যন্ত কক্সবাজারের রাজনৈতিক চরিত্র ও পটপরিবর্তনের নানান দিক উঠে এসেছে। উঠে এসেছে এ সময়ের ব্যক্তি চরিত্রগুলোও। এ গ্রন্থটি শুধু বঙ্গবন্ধু বিষয়ে নয়- মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজারের ভূমিকা এবং মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব ও পরবর্তী সময়ের কক্সবাজারের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি প্রামাণ্য দলিল হয়ে থাকবে।
বইটির লেখক কালাম আজাদ বলেন, স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে কক্সবাজার সফর করেছেন ১২ বার। কক্সবাজারের রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা অনবদ্য। বঙ্গবন্ধুর জন্মের শতবর্ষ পেরিয়ে যাচ্ছে অথচ কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো গবেষণা হয়নি, এ বিষয়ে রচিত হয়নি একটিও স্বতন্ত্র গ্রন্থ। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বুকে নিয়ে কক্সবাজারে এখনো অনেক প্রবীণ ব্যক্তি জীবিত আছেন। আরো বিলম্ব করলে হয়তো তাঁরা সকলেই গত হয়ে যাবেন। তাই কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধুর আগমন ও অবদানের ইতিহাস সংরক্ষণের এাঁই সর্বোচ্চ সময়। আরো দেরি করলে অনেক ইতিহাস হয়তো চলে যাবে ইতিহাসের আড়ালে। তাই কক্সবাজারের একজন সচেতন বাসিন্দা হিসেবে, বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে নিজের তাগিদ ও দায়িত্ববোধ থেকেই কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু বিষয়ে অনুসন্ধানে নামি। এবং সবশেষে বঙ্গবন্ধুর কক্সবাজারের সফরের চিত্র এবং কক্সবাজার নিয়ে তার ভূমিকা কক্সবাজারবাসির কাছে তোলে ধরতেই আমার এ পরিশ্রম। বইটি পড়ে কারো যদি কোনো উপকারে আসে তাহলে আমার কষ্টের সফলতা পাবো…
বইটি পাঠক সমাবেশ, বাতিঘর, প্রকৃতিসহ ঢাকার বিভিন্ন পুস্তক বিক্রেতা কেন্দ্রে , কক্সবাজারে কবি মানিক বৈরাগী, অমিত চৌধুরী এবং লেখকের কাছে (০১৮১৪৪৯৫৪৬৬) অথবা প্রকাশকের কাছে (০১৯২৩০৭২৮৩১) ফোনে যোগাযোগ করেও সংগ্রহ করতে পারেন।
উল্লেখ্য কালাম আজাদ উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের বত্তাতলী গ্রামে আবদুল মালেক ও ছুবিয়া খাতুনের কৃতিসন্তান। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। ইতোমধ্যে তার দুইটি গবেষণা গ্রন্থ ‘রাজাকারনামা’ ও ভাষা আন্দোলনে কক্সবাজার’ পাঠকমহলে বেশ সাড়া পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি মুক্তিসংগ্রাম, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন নিয়ে লেখালেখি করে আসছেন।