বাসটার্মিনালের শক্তি মোটর্সে কথিত কোটি টাকার লুটপাটের অভিযোগে গত ১৮ মার্চের কথিত সাংবাদিক সম্মেলনে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর দাবীকে হাস্যকর বলে আখ্যায়িত করেছেন আবদুল করিম সিকদার। গতকাল ১৯ মার্চ দৈনিক কক্সবাজারের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত খবরটি তার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে জানিয়ে ‘মিথ্যা ঘটনা ও অন্যায়ের পক্ষ নেয়া মোহাম্মদ আলীরা কেমন মুক্তিযোদ্ধা?’ প্রশ্ন করেন তিনি।
আবদুল করিম সিকদার বলেন, বকেয়া ভাড়া আদায়ের জন্য গত ১৩ মার্চ উজ্জ্বল সেনের বিরুদ্ধে আমি থানায় অভিযোগ করি এবং পরদিন ১৪ মার্চ প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দিই। কিন্তু তালা দেয়ার পরদিন ১৫ মার্চ উজ্জ্বল সেন তার শো-রুমে ৮০ লাখ টাকার লুটপাট চালিয়েছে মর্মে হাস্যকর অভিযোগ তুলে। অথচ বন্ধ শো-রুমের উপর আমরা কেবল আরেকটি তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। কিন্তু উজ্জল সেন বা তার ভাড়াটে সহযোগীদের দাবী মতে বাসটার্মিনালের মত এমন একটি জনসমাগমস্থলে লুটপাট হলে শুধু ভাড়ায় খাটা ব্যক্তিরা দেখে, অন্য কেউ দেখে না?
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী তার সম্মান ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশকে অনৈতিক চাপ দিতে গিয়েছিলেন এবং সাংবাদিক সম্মেলন করেও চাপ দিচ্ছেন। কতটা নির্লজ্জ হলে তারা একটি মিথ্যা লুটপাটের মামলা নেয়ার জন্য সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রকাশ্যে পুলিশকে চাপ দিতে পারে, ভাবতেই অবাক লাগে। এই মোহাম্মদ আলীরা মুক্তিযোদ্ধা সাইনবোর্ডের অপব্যবহার করে প্রকৃত ও অত্যন্ত সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধাদের আর কত নীচে নামাবেন? আমি বিষয়টি তদন্তের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের পাশাপাশি প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
আমি আশংকা করছি, লুটপাটের অভিযোগ তুলে উজ্জ্বল সেন তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে নিজেই নিজের শো-রুম লুটপাটের সাজানো ঘটনা ঘটাতে চায়। আর এ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে আমরা এখন মার্কেটে দিনরাত পাহারার ব্যবস্থা করেছি। এরআগে উজ্জ্বল সেন আমার পাওনা টাকা আত্মসাতের জন্য সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে আরেকটি নিকৃষ্ট ও ঘৃণিত চালটি চেলেছিল। সুবিধা করতে না পেরে নতুন মানুষদের ভাড়ায় এনে আইন প্রয়োগকারীদের প্রতি এখন হুংকার ছাড়ছে সে। আমি আইন প্রয়োগকারীদের প্রতি এমন বেআইনী সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।

নিবেদক
আবদুল করিম সিকদার,
পিতা মরহুম মোহাম্মদ জাকারিয়া সিকদার,
সিকদারপাড়া জমিদারবাড়ী, বিডিআর ক্যাম্প, কক্সবাজার।