নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে কক্সবাজারে সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি নিয়ে করোনার বিরুদ্ধে মাঠে জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন ঝিনুকমালা খেলাঘর আসর। সচেতনতামূলক প্রচার পত্র বিলি, মাইকিং, ব্যানার দিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। বিলি করা হচ্ছে বিনামূল্যে মাস্ক। অফিস, আদালত, দোকান, বাজারে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে অভিযানে নেমেছে খেলাঘরের বন্ধুরা। শুধু তাই নয় বিদেশ ফেরত যে সব প্রবাসী ইতিমধ্যে বাংলাদেশে এসেছেন তাদের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে যারা কোয়ারেন্টাইনে না থেকে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের ব্যাপারে প্রশাসনকে অবহিত করা হচ্ছে।

এসময় জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক বিশ^জিত পাল বিশু বলেন, সারা বিশে^র পাশাপাশি সারা বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। এখন যে যেখানে আছে সেখান থেকে নিজেকে সুরক্ষা করতে হবে এবং অন্যদের সর্তক ও সচেতন করতে হবে। ঝিনুকমালা খেলাঘর আসরের সভাপতি সুবিমল পাল পান্না জানান, মারাত্মক ছোঁয়াছে রোগ করোনা থেকে শিশুসহ সকল মুক্ত রাখার জন্য করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে সর্তক ও সচেতন হতে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে ঝিনুকমালা খেলাঘর আসর।

সংগঠনের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক দীপক শর্মা দীপু জানান, ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত খেলাঘর বাংলার সকল আন্দোলন সংগ্রামে ছিল। বিভিন্ন দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ৯১ সালের মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্র্ণিঝড় পরবর্তি মানুষের বিপদে দাঁড়িয়েছে ঝিনুকমালা খেলাঘর আসর। করোনা ভাইরাসকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে ঝিনুকমালার মাঠে থাকবে –, গণসচেতনায় প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাবে। শুধু তাই নয় বিদেশ ফেরত যে সব মানুষ কোয়ারেন্টানে না গিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের খবর নিয়ে প্রশাসনকে অবহিত করা হচ্ছে।

১৯ মার্চ থেকে পর্যটন কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে, অফিস, আদালত, দোকান, বাজারে প্রচারণা ও বিনামূল্যে মাস্ক বিলি শুরু করেছে। একাধিত দলে ভাগ হয়ে প্রচারণা ফ্রি মাস্ক বিতরনে অংশ নেন ঝিনুকমালা প্রশিক্ষণ একাডেমির পরিচালক ডা: চন্দন কান্তি দাশ, প্রধান সমন্বয়কারি রাজিব দেবদাশ, কর্মকর্তা মো: আবছার , আসিফ সাইফুল আবির, মিটন দাশ, নয়ন চক্রবর্তি, পিন্টু মল্লিক , ইল্লু বড়য়া, মো: সালাহউদ্দিন, মিশু দাশগুপ্ত, জয় চক্রবর্তি।

এতে জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুুরী দোলন, প্রবীন শিল্পী আবদুল মতিন আজাদ, জেলা খেলাঘর কর্মকর্তা ধ্রুব সেন প্রচারনায় অংশগ্রহন করেন।