ফারুক আহমদ, উখিয়া
উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়ন চাকবৈটা গ্রামে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও বন্ধের চেষ্টা করায় স্থানীয় মেম্বার ফিরোজ আহমদসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে উল্টো ফাঁসানো হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় প্রচন্ড ক্ষোভ সহ গ্রামবাসীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা যায় উপজেলার পূর্ব চাকবৈটা গ্রামের আবুল হোসেনের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে ইব্রাহিমের সাথে খুনিয়া পালং ইউনিয়নের ইয়াসমিনের মধ্যে বিবাহ কথা বার্তা চলছিল। এ খবর পেয়ে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ফিরোজ আহমদ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে।
এমনকি বরের পিতা-মাতাকে বাল্যবিবাহের কথাটি জানান দিয়ে আইন সম্পর্কে সতর্ক করা হয় এবং বাল্যবিবাহ বন্ধে অনুরোধ করেন।
এদিকে স্থানীয় মসজিদের ঈমাম হাফেজ সৈয়দ হোসাইন মৌলভী আব্দুল মন্নান স্থানীয় বাসিন্দা আবু সিদ্দিক খলিফা ও আব্দুর রহমান জানান, মেম্বার ফিরোজ আহমেদের অনুরোধ অমান্য করে উল্টো গত বৃহস্পতিবার রাতে গান-বাজনা বাজিয়ে ও নর্তকী নাছিয়ে বিবাহের আয়োজন করে। স্থানীয় জনগণের অনুরোধে উচ্চস্বরে গান-বাজনা এবং নর্তকীর নাচ বন্ধের জন্য বারণ করতে মেম্বার ফিরোজ আহমদ বরে বাড়িতে যান এবং অনৈসলামিক কার্যকলাপ বন্ধের আবরো অনুরোধ করেন।
এদিকে অভিযোগে প্রকাশ, উক্ত ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে বিবাহ আসরে হামলা ভাঙচুর ও আহতের ঘটনা সাজিয়ে মেম্বার সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে ফাঁসনো অপ চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কারীদেরকে হামলা করতে উখিয়া স্টেশনে পাহারা দেওয়া হচ্ছে। ভয়ে কেউ স্টেশনে যেতে পারছেনা।
স্থানীয় মেম্বার ফিরোজ আহমেদ বলেন ইউনিয়ন পরিষদে বিভিন্ন সংস্থা ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য বারবার আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে আসতেছে।
আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় বাল্যবিবাহ বন্ধের আহ্বান করলে আজ আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন বর ইব্রাহিমের বয়স কেবল আঠারো বৎসরের নিচে। বিবাহের বয়স এখনো হয়নি।
উখিয়ার বিবাহ নিকাহ কাজী জানান ২১ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বর বা ছেলে বিবাহ করতে পারবে না সরকারিভাবে এমন প্রজ্ঞাপন রয়েছে।