নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইসলামাবাদ থেকে ফায়েজুল করিম জুয়েল নামের পুলিশের সোর্স পরিচয় দানকারী এক দালালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলাও ওয়ারেন্ট ছিল। ৭ মার্চ শনিবার রাত ৮ টার দিকে ইসলামাবাদস্থ তেঁতুল তলী এলাকায় অবস্থিত ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ফায়েজুল করিম
জুয়েল উল্লেখিত ইউনিয়নের ইউছুপের খীল এলাকার ছৈয়দ করিমের ছেলে বলে জানা গেছে।

পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত জুয়েলের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলার ওয়ারেন্ট জারী ছিল। গ্রেপ্তার এড়াতে সদ্য বদলী হওয়া একজন (সাব ইন্সপেক্টর)এসআই পদমর্যাদার অফিসারের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে সোর্স পরিচয় দিয়ে নানান অপকর্ম করে আসছিল। তাছাড়া গ্রেপ্তার এড়াতে ঐ পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে চলাফেরা করত।

ওয়ারেন্ট কপিটি তদন্ত কেন্দ্রে পৌঁছলে ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামানের নির্দেশে
এএসআই মহি উদ্দীন সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে রাতেই তাকে উল্লেখিত স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে।

সূত্রে জানা যায়, বদলী হওয়া ঐ সাব ইন্সপেক্টরের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে সাধারণ মানুষকে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করত। বিষয়টি পুলিশের নজর থাকলেও গ্রেপ্তার এড়াতে গা-ঢাকা দেয় গ্রেপ্তারকৃত দালাল জুয়েল। তাছাড়া তদন্ত কেন্দ্রে সাধারণ বিচার প্রার্থী আসলে তাদেরকে ভুল ভাল বুঝিয়ে হয়রানি করত৷

এমন অহরহ অভিযোগ থাকলেও তাকে সদ্য বদলী হওয়া ঐ সাব ইন্সপেক্টর গ্রেপ্তার করেনি। সে অন্যত্রে চলে যাওয়ার পরও থামেনি দালালী ও সোর্স পরিচয় দেওয়ার প্রবণতা। এদিকে সাধারণ মানুষ হয়রানি, পুলিশের সোর্স পরিচয়, দালালীর অভিযোগ এবং গ্রেপ্তারী পরোয়ানা মুলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানতে চাইলে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল একজন চিহ্নিত দালাল, সে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে আর্থিক সুবিধা নিত, নিজেকে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে অপরাধীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে চাঁদা আদায় করত। এছাড়া তদন্ত কেন্দ্রে আগত সাধারণ বিচার প্রার্থীদের জিম্মি করে হয়রানিও করত বলে পুলিশের কাছে তথ্য ছিল। তার বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলার ওয়ারেন্টও জারী ছিল। এটাকে আড়াল করে গ্রেপ্তার এড়াতে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিত।
এদিনও তদন্ত কেন্দ্রের সামনে সাধারণ মানুষের সাথে দালালী করছিল, খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরো জানান, ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রে কোন দালালের স্থান নেই। তিনি সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের প্রতি অনুরোধ করেন, নিজের সমস্যা নিয়ে নিজেই তদন্ত কেন্দ্রে আসুন। এখানে কোন দালাল ফরিয়াদীদের স্থান নেই। কেউ দালালের দ্বারা প্রতারিত হবেন না। পুলিশ জনগণের বন্ধু সেটা অনুসরণ করে সাধারণ মানুষকে সেবা ও পরামর্শ দিতে সর্বদা প্রস্তুত৷

৮ মার্চ রোববার সকালে সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে আদালতের সোপর্দ করা হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।