ইত্তেফাক : এবার টিস্যু বক্সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছেপে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত টিস্যু বক্স বিভিন্ন কক্ষে বিতরণের জন্য রাখা হয়েছে। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

এসএমএস টেকনোলজিস নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। প্রতিটি টিস্যু বক্সের দাম ধরা হয়েছে ৫৬ টাকা। বিষয়টি জেনে তার কঠোর অবস্থান জানিয়েছেন শিক্ষাউপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি এ নিয়ে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, ‘মুজিববর্ষের লোগো অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে যত্রতত্রভাবে প্রিন্ট করার একটি ঘটনা যা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে হয়েছে, তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে এই প্রিন্টের বক্সগুলো বাজেয়াপ্ত করেছি এবং এর পিছনে কে সেটি জানাতে বলেছি। পরিকল্পিত ভাবে এই কাজ করা হয়ে থাকলে অবশ্যই শাস্তি পেতেই হবে। আমাদের সমাজ, প্রশাসন, রাজনীতিক পরিমন্ডলের সবখানেই অবিবেচক আর অতিউৎসাহীর কোনো কমতি নাই। পাশাপাশি অপরাজনৈতিক শক্তির দোসররা তো আছেই! এরা চাইবে যে কোনো ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে, বিতর্ক সৃষ্টি করতে। এই চ্যালেঞ্জটি আমাদের আছেই। এই বিশাল প্রশাসনের কোথায় কে কোন বিতর্ক ঘটিয়ে ফেলেছে তা আগে থেকে নিয়ন্ত্রণ কঠিন। তাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আর ব্যবস্থা নিয়েই আমাদের এগোতে হবে। সকলের অবগতির জন্য আমরা জানাচ্ছি “মুজিববর্ষের” আনুষ্ঠানিকতা কার্যক্রম, ইত্যাদির দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য একটি জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি আছে। এর প্রধান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই কমিটি কর্তৃক নির্দেশিত কাজের বাইরে কিছু করতে চাইলে আমাদের প্রানপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন দুস্থ, গৃহহীন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কল্যানমূলক কিছু করতে, যেমন তাদের জন্য গৃহনির্মান। এতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় তার সাধারণ মানুষের জন্য যেই সমান অধিকারের দেশ তিনি রেখে যেতে চেয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নের পথে আমরা অনেক দুর এগুতে পারবো। সুতরাং অতিউৎসাহীরা সাবধান!’

খোজ নিয়ে জানা গেছে, এই কাজে নানা ভাবে জড়িত ছিলেন মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন), উপপরিচালক (প্রশাসন) ও উপ-পরিচালক (বিশেষ)। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে অংশ নেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সকালে শিক্ষামন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির মুখোশ পরে শিক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানান। যার প্রতিবাদ করেননি শিক্ষামন্ত্রী। এ নিয়ে গত ২ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ সভায় ডা. দীপু মনির ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।