ইব্রাহিম খলিল মামুন:
ইয়াবা ব্যবসা করে বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এবার মামলা হয়েছে নুরুল কবির নামের টেকনাফের আরেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নুরুল কবির হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
বুধবার (৪ মার্চ ) দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এ সহকারী পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবীর জানান, অনুসন্ধানকালে তাদের যে সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে তদন্তের স্বার্থে ওইসব সম্পদগুলো শীঘ্রই জব্দ করা হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবীর। অনুসন্ধানকালে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৭৩ লাখ ৬৮,১০৯ টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব সম্পদের কোন আয়ের উৎস ছিলনা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নুরুল কবিরের নামে টেকনাফ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৩৮টি দলিল মুলে বিপুল পরিমাণ জমি, টেকনাফের হ্নীলায় একটি দুইতলা ডুপ্লেক্স বাড়ী এবং একটি ইট ভাটার।
দুদক-এর সহকারী পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবীর জানান, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল না করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করার অভিযোগে নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। একই সাথে আমাকে এ মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, এর আগে ২ মার্চ টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর নুরুল বশর ও হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল হুদার বিরুদ্ধে একই অভিযোগে মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।