বার্তা পরিবেশক :

পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় সিদ্ধান্ত বিরোধী এবং রাজাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নবগঠিত কমিটি নিয়ে সম্প্রতি সময়ে তথাকথিত খন্দকার মোস্তাকের অনুসারী নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে বিরোধীতাকারীরা বেফাঁস মন্তব্য করছেন বলে বিবৃতি দিয়েছেন পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল চৌধুরী ও সদস্য সচিব আবুল কাশেম।

আবু হেনা মোস্তাফা কামাল চৌধুরী ও আবুল কাশেম যৌথভাবে বিবৃতিতে বলেছেন, সম্প্রতি সময়ে স্থানীয় সংবাদপত্র ও বেশকটি অনলাইন পোস্টালসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খন্দকার মোস্তাকের অনুসারী ও নির্বাচনের সময় নৌকার বিপক্ষে বিরোধীতাকারীরা পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় সিদ্ধান্ত বিরোধী এবং রাজাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নব গঠিত কমিটি নিয়ে মনগড়া ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিচ্ছেন। এই ধরণের বক্তব্য ও বিরোধীতা করা সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। তাই আমরা উল্লেখিত ভিত্তিহীন মন্তব্য ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি সবাইকে অবগত করতে চাই, কক্সবাজার-১ আসনের এমপি আলহাজ জাফর আলমের নেতৃত্বে এবং কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের দিকনির্দেশনার আলোকে আগামী দিনে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম বিকশিত করতে ও দলকে জনবান্ধব এবং কর্মীবান্ধব সংগঠন হিসেবে তৈরী করতে আমরা অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাবো। এতে খন্দকার মোস্তাকের অনুসারীদের যতই বাঁধা বা ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকুক, তা সাংগঠনিকভাবে মোকাবেলা করে এগিয়ে যাবো।

বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, দলের ভেতরে থেকে খন্দকার মোস্তাকের অনুসারীরা যুগ যুগ ধরে বিভাজনের রাজনীতি করেছে। তাঁরা দলের বিরুদ্ধে, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। কিন্তু তাঁরা দলের জন্য কোনদিন অবদান রাখতে পারবেনা।

পেকুয়া উপজেলা ও উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে যখন আমরা আওয়ামীলীগকে তৃনমুল থেকে কর্মীবান্ধব ও জনবান্ধব সংগঠন হিসেবে সবার সিদ্বান্তক্রমে ঢেলে সাজাতে কাজ শুরু করেছি, তখনই বিভাজনের রাজনীতিতে জড়িতরা আবারও পরিকল্পিতভাবে মাথাচড়া দিয়ে উঠেছে। তারা দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড ও সভাপতি শেখ হাসিনার ভিশনের আলোকে কর্ম পরিকল্পনার বিরোদ্ধচারন করে যাচ্ছে। কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সভায় পেকুয়া উপজেলার সকল ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলার কমিটিকে সুসংগঠিত করার জন্য যখন আমাদেরকে কমিটি অনুমোদন দেন তখন থেকেই আমরা পরিচিত সভাসহ একাধিক বর্ধিত সভা-জরুরী সভার মাধ্যমে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সম্মেলনের মাধ্যমে কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করি এবং যথানিয়মে টইটং ইউনিয়নের সম্মেলন সম্পন্ন করি, রাজাখালী ও উজানটিয়া ইউনিয়ন সম্মেলন সম্পন্ন করার জন্য গত ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারী দিনক্ষন ধার্য্য করি। এই প্রেক্ষিতে রাজাখালী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসি, সাবেক সম্পাদক আবুল কাশেম আজাদ লিখিতভাবে আমাদেরকে জানান আমরা সম্মেলন করতে অপারগ বিধায়। সেই কারণে তাদের ব্যর্থতায় রাজাখালী ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করি। একই সঙ্গে রাজাখালী ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক ও ইউনিয়ন কাউন্সিলর উপজেলা নেতৃবৃন্দসহ সবার সম্মতিক্রমে এবং আলোচনার ভিত্তিতে তৃনমূলের সংগঠক রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান সৈয়দ নূরকে সভাপতি ও নাছির উদ্দিন’কে সাধারন সম্পাদক করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী তিনবছর মেয়াদে নতুন কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে আবু হেনা মোস্তাফা কামাল চৌধুরী ও আবুল কাশেম বলেন, রাজাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি অনুমোদনে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম (বিএ.অর্নাস. এমএ) সম্মতি দিয়েছেন। নির্বাচিতরা আওয়ামীলীগের দুর্দিনের সারথী এবং দলকে সুসংগঠিত করতে তাদের আছে দৃঢ় মনোবল। কমিটি ঘোষনার পর পর দলের ভেতরে ঘাপতি মেরে থাকা বিভাজনের রাজনীতিতে জড়িতরা উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দের নাম ব্যবহার করে বিভিন্নস্থানে ভূয়া অভিযোগ ও বিবৃতি পাঠিয়ে আওয়ামীলীগের মধ্যে ফের বিভাজনের রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। তাঁরা দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র করছে । আমরা এই ধরণের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার আছি এবং আগামীতেও থাকবো।

আবু হেনা মোস্তাফা কামাল ও আবুল কাসেম আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বিভিন্ন মহলে পাঠানো ভূয়া বিবৃতিতে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বকতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, মফিজুর রহমান, আবুল হোসেন সামা, তৌহিদুল ইসলাম তোহা, বেলাল উদ্দিন আহমদ, শহীদুল ইসলাম চৌধুরী চেয়ারম্যান, কাজীউল ইনসান, বশির আহম্মেদ, খানে আলম, ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেসী, সরোয়ার কামাল চৌধুরী, রশীদ আহম্মদ, মজিবুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাঁরা আমাদেরকে শতভাগ নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আমরা পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতির বিরুদ্ধে কোন কাগজে স্বাক্ষর দিইনি এবং দলের সিদ্বান্তের বিপক্ষে কোনধরণের মন্তব্য ও বিবৃতি দিইনি। তবে কতিপয় সুবিধাবাদী চক্র অপকর্মের আশ্রয় নিয়ে আমাদের অগোচরে গনমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের নাম ব্যবহার করেছে। আমরাও এই ধরণের মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন মন্তব্য কারিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি। কেননা, ভবিষ্যতে তাদের অপকর্মের কথা যেন সবাই জানতে পারে।

পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আবু হেনা মোস্তফা কামাল চৌধুরী ও সদস্য সচিব আবুল কাশেম বলেন, পেকুয়া উপজেলা ও সাতটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক অর্জন অব্যাহত রাখতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথে অবিচল আছি। কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলমের সুদক্ষ নেতৃত্বে দলের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি দলের বিপক্ষে বিভাজনের রাজনীতিতে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের চিহিৃত করে আগামীতে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে আমরা বাধ্য হবো। একই সঙ্গে রাজাখালী ইউনিয়নের নব গঠিত কমিটি দলের নির্দেশনার আলোকে যথানিয়মে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।