জে. জাহেদ:

সাংবাদিক হলো জাতির চতুর্থ স্তম্ভ। আজকের বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। সংবিধানে আছে এদেশের মালিক জনগণ। আমরা যেভাবে এগুচ্ছি নিশ্চয়ই ২০৪১ সালের অনেক আগেই একটি উন্নত দেশে পরিণত হবো।

বাংলা ভাষা যেটি ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ ও সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সময়ে প্রচলিত ছিলো তা আজ প্রচলন নেই।

আমাদের সরকারি ভাষা ছিলো
আগে ফারসি। ১৭শ শতাব্দীর দিকে এটি বাংলা ভাষায় করা হয়।

বাঙালিকেই প্রথম বাংলা ভাষা ও একটি দেশ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালি জীবন দিলেও ১৯৪৮ সালে বাংলায় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

চীন এগিয়ে যাচ্ছে, কোরিয়া এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা কিন্তু ইংরেজি ভাষা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে না। চীন কোরিয়া এগিয়ে যাচ্ছে তাদের মাতৃভাষা দিয়ে।

এক সময় ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব ছিলো ইংল্যান্ড। সমগ্র বিশ্বের শিল্প বাণিজ্য করতে তাঁরা। তারপর জাপান, জাপান ও এগিয়ে যাচ্ছে তাদের মাতৃভাষা দিয়ে। তাহলে আমরা কেন পারব না। আমাদের জ্ঞান চর্চা করতে হবে নিজ মাতৃভাষার উপর।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলার ‘একুশ ও বাংলাদেশের গণমাধ্যম শীর্ষক‘ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাষাবিদ প্রফেসর ড. অনুপম সেন।

শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম চত্বর হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান ,টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনচারি রুমা।

সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ বলেন, আমরা যারা পত্রিকায় কাজ করি তাঁরা সকলে চেষ্টা করি বাংলা ভাষা কে সহজ ভাবে উপস্থাপন করার। আমরা যেখানে যাই সেখানে যেনো বাংলা ভাষাকে ভালো ভাবে উপস্থাপন করি। বই হলো জ্ঞানের ভান্ডার। আপনার সন্তানদের মোবাইল নয়, বই তুলে দিন।

সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী বলেন, ১৯৫২ সালে বাঙালি জাতি ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন। সুতরাং আমাদের সন্তানদের শুদ্ধ ভাবে বাংলা ভাষা শেখাবো। মোবাইল দিয়ে শিশুদের মনমানসিকতা নষ্ট না করে আমরা শিশুদের বই উপহার দিই।

সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যম বাংলাদেশ বিনির্মাণে বড় ভূমিকা রেখেছে।
সেই গণমাধ্যম কিন্তু আজ রাজনৈতিক ভাবে জড়িয়ে হলুদ জার্নালিজমের সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন ও বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করেছেন।

ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ শুরু হওয়া এই বইমেলা শেষ হবে আগামীকাল ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯.৩০ টা পর্যন্ত।