সিবিএন ডেস্ক
পেঁয়াজ রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ফের আমদানির খবর ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে একদিনের মধ্যেই দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ৩০ টাকার করে। এজন্য উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমদানি ও দেশীয় দুই জাতের পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে বাজারে। মেহেরপুরের সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। তবে আমদানি করা বার্মার পেঁয়াজ একশ’ টাকা থেকে কমে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা ৮০ টাকায় বিক্রি হতো। এছাড়াও ভারতীয় কিছু পেঁয়াজ দেখা যাচ্ছে, যা ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, বৃহস্পতিবারও এসব পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা স্বপন কুমার ও সালাহউদ্দিন আহম্মেদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এখনও আমাদের এক কেজি পেঁয়াজ কমপক্ষে ৬০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। অবশ্য ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার খবরে গতকালের চেয়ে আজ পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকার মতো কমেছে। এতে করে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের বেশ সুবিধা হচ্ছে। সামনের দিনে এভাবে যদি পেঁয়াজের দাম আরও কমে, তাহলে বেশ ভালো হবে।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বৃহস্পতিবার ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এতে করে আগামী রবিবার বা সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হতে পারে। এমন খবর দেশের সব অঞ্চলেই ছড়িয়ে পড়েছে। যার কারণে এসব অঞ্চলের কৃষকরা তাদের পেঁয়াজগুলো বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। এর ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামও কমতে শুরু করেছে।