মোস্তফা কামালঃ
লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ঝুকিপূর্ণ বাঁশের সাকোঁর উপর নির্ভর করছে প্রায় ৪শতাধিক পরিবারের চলাচল।
এতে করে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তিন গ্রামের সাধারণ নারী-পুরুষসহ কোমলমতি শিক্ষার্থী ও মুসল্লিদের। ইউনিয়নের অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত ৩টি গ্রামের নাম বগাইছড়ি, ছাগল্যাঝিরি ও রংখোলার ঝিরি। এলাকার জন প্রতিনিধিরা প্রতি ৫ বছর পর-পর পরিবর্তন হচ্ছে। কিন্তু তেমন কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি এই গ্রাম তিনটিতে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই এলাকার একজন প্রবীন মুরুব্বির জানাজার নামাজে অংশ নিতে গিয়ে দেখা যায়, রংখোলার ঝিরি গ্রামস্থ বগাইছড়ি পুরাতন জামে মসজিদে যাওয়ার পথে বগাইছড়ি খালের উপর নড়-বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারা-পার করছে হচ্ছে মসজিদের মুসল্লিসহ এলাকার শত-শত নারী পুরুষকে। এসময় স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের এই ৩ গ্রামের প্রায় ৫ হাজার লোকজন যুগ-যুগ ধরে সাঁকো দিয়ে চলাচল করে জীবন যাপন করে আসছেন। চলাচলের জন্য এলাকার লোকজন প্রতি বছর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করলেও বর্ষা কালে পাহাড়ী ঢলের পানির স্রুতে সাঁকো ভেঙ্গে যায়। তখন অনেক সময় এই তিন এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা।
স্থানীয় ৩ নং রিপুজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ও রাকিবুল হাসান জানান, শুষ্ক মৌসুমে সাঁকো দিয়ে পার হওয়া গেলেও বর্ষাকালে ঢলের পানির স্রোতে সাঁকো ভেঙ্গে গেলে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা ও জেনি আক্তার জানান, আমরা সাঁকো দিয়ে পার হয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করি। আবার সাঁকো থেকে পানিতে পড়েও যায় ! পানিতে পড়ে গেলে আমাদের বই-খাতা হারিয়ে যায়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং এর কাছে এই এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী বগাইছড়ি খালের উপর ওই স্থানে ছোট করে হলেও একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়া।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লামা এল,জি,ই,ডি প্রকৌশলীর এক কর্মকর্তা বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা লিখিত আবেদন করলে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।