মোঃ নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম:
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ওমান প্রবাসী দারুল ইসলামের পাকা বসত ঘরে ব্যপক
ভাংচুর চালিয়েছে তারই সহোদর মাদকসেবী নুরুল ইসলাম(৩২)। (২৪ ফেব্রুয়ারি) সোমবার দিবাগত রাত ১১টার সময় উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের কমিরাপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বাজালিয়া কমিরাপাড়া এলাকার মৃত আবদুস ছালামের ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ে
রয়েছে। আর্থিক অনটনের সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরাতে
দারুল ইসলাম ওমানে পাড়ি জামান। দীর্ঘদিন ওমানে প্রবাস জীবন
কাটিয়ে তার কষ্টে অর্জিত অর্থে তিনি কিছুটা স্বচ্ছল হন। ইতোমধ্যে সব
ভাইয়েরা সংসার আলাদা করে নিজেরা ঘরবাড়ি তৈরী করে পৈতৃক ভিটায় অবস্থান
করছেন। প্রবাসী দারুল এক সময় দেশে ফিরে পৈতৃক ভিটের নিজের অংশে একটি পাকা
বাড়ি তৈরী করে ভাড়া দেন। পরে মা ও পরিবার পরিজন নিয়ে ওমান পাড়ি জমান।
বর্তমানে তিনি স্ত্রী সন্তানসহ মাকে নিয়ে ওমানে অবস্থান করছেন। বছর
দু’য়েক পরে দেশে এসে ঘুরে যান। মাস দু’য়েক আগেও তিনি দেশে এসেছিলেন।
ওমান প্রবাসী দারুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকালে টেলিফোনে তার বিল্ডিংয়ে
ভাংচুরের বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, গত দুই মাস আগে দেশে গিয়েছিলাম। তখনও আমার
ছোট ভাই নুরুল ইসলাম আমাকে মারার জন্য চেষ্টা করেন। তার হুমকি ধমকিতে নিজ বাড়িতে গিয়ে দু’দিনও থাকতে পারিনি। আমার ভাই নুরুল ইসলাম একজন মাদকসেবী। এর আগেও
বহুবার তিনি আমার ঘরে হামলা ও ভাংচুর করেছেন। গত সোমবারও আমার পাকা বিল্ডিংয়ে ভাংচুর করলে আমার এক আত্মীয় আমাকে টেলিফোনে বিষয়টি জানান। আমি
সাতকানিয়া থানায় রাতেই ভাংচুরের ঘটনাটি জানিয়ে দিই। থানা পুলিশ
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে এসেছেন। আমার কোন ভাই তার এ ধরনের অপরাধের কোন প্রতিবাদ
করেন না। অথচ আমি যতটুকু পারি আমার সাধ্যমত সবাইকে সহযোগিতা করি।
প্রতিমাসে নুরুল ইসলামের পরিবারে একটি চালের বস্তা কিনে দিই।
এলাকাবাসী অনেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানিয়েছেন, প্রবাসী দারুল ইসলাম
বিদেশে গিয়ে পয়সাওয়ালা হওয়ায় অন্য সহোদররা তা’ সহ্য করতে পারছেন না।
ভেতরে ভেতরে ভাইদের মধ্যে সবাই তাকে হিংসা করেন। এ জন্য ষড়যন্ত্র করে
নুরুল ইসলামকে দিয়ে তারা এ কাজ করাচ্ছেন যাতে দারুল দেশে আর ফিরে না আসে।
নুরুল ইসলামের এ অপকর্মের পিছনে ভাইদের মধ্যে কয়েক জনের ইন্দন রয়েছে।
তাদের ইন্দনে নুরু বার বার দারুলকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন।
বর্তমানে প্রবাসী দারুল ইসলাম নিরাপত্তা জনিত কারনে দেশে ফিরতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের মুঠোফোনে বার বার রিং করলে তিনি রিসিভ করেননি।
যোগাযোগ করা হলে সাতকানিয়া থানার এসআই মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে
বলেন, প্রবাসীর টেলিফোনিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ফোর্সে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা
পেয়েছি। বিল্ডিংয়ে ভাংচুরকারী নুরুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে
তদন্তের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাতকানিয়ায় প্রবাসীর বসত ঘরে প্রতিপক্ষের ভাংচুর
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।