মানুষের এমন কিছু চারিত্রিক স্বভাব রয়েছে, যেগুলো খুবই নিকৃষ্ট ও অপছন্দনীয়। মানুষের এ স্বভাবগুলো ‘আখলাকে সায়্যিআ’ নামে পরিচিত। এ স্বভাবগুলোর কারণে মানুষের অধপতন সুনিশ্চিত।
আখলাকে সায়্যিআ বলতে যেসব স্বভাব রয়েছে তাহলো- মিথ্যা, অজ্ঞতা, মূর্খতা, অহংকার, কৃপণতা, গিবত, প্রতারণা, হিংসা, রাগ, পদমর্যাদা ও সম্পদের লোভ। এসবই মানুষের বদ স্বভাব। কুরআন-সুন্নাহর বর্ণনায় এসব স্বভাবে ক্ষতিও ভয়াবহ।
এ স্বভাবগুলো মানুষের দুনিয়ার সফলতার পাশাপাশি পরকালকে বরবাদ করে দেয়। হাদিসে এসেছে-
হজরত হারিসাহ ইবনু ওয়াহ্ব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘(জাওয়ায ও জাযারি) বদ চরিত্র ও বিরক্তিকর স্বভাবের মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (আবু দাউদ)
কুরআন সুন্নায় ঘোষিত আখলাকে সায়্যিআ তথা বদ স্বভাবগুলো থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তুলে ধরা হলো-
>> আল্লাহর স্মরণে উদাসিনতা
আল্লাহকে ভুলে দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকা মানুষের বদ স্বভাবের মধ্যে অন্যতম একটি। এ স্বভাব মানুষকে মৃত আত্মায় পরিণত করে দেয়। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা সংকীর্ণ হবে এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উঠাবো।’ (সুরা ত্বাহা : আয়াত ১২৪)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন-
‘যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে বিমুখ হয় আমি তার জন্যে এক শয়তান নিয়োজিত করি। অতপর সে তার সঙ্গী হয়।’ (সুরা যুখরুফ : আয়াত ৩৬)
হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেন-
‘যারা আল্লাহকে স্মরণ করে এবং যারা আল্লাহকে স্মরণ করে না তাদের দৃষ্টান্ত হলো জীবিত ও মৃতের ন্যায়।’ (বুখারি)
এ থেকে উত্তরণের উপায় আল্লাহকে বেশি স্মরণ করা এবং আল্লাহর জিকিরে মশগুলো থাকা। হাদিসে পাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
– ‘শয়তান মানুষের হৃদয়ে লেগে থাকে। যখন বান্দা আল্লাহকে স্মরণ কর তখন সে পিছু হটে আর যখন সে আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসিন থাকে তখন শয়তান তাকে কুমন্ত্রণা দেয়।’ (বুখারি, মিশকাত)
– প্রত্যেক জিনিসেরই পরিচ্ছন্ন করার উপায় আছে। আর অন্তর পরিচ্ছন্ন করার উপায় হলো- আল্লাহর জিকির।’ (বায়হাকি, মিশকাত)
>> অহংকার
মানুষের বদ স্বভাবের মধ্যে অহংকার অন্যতম একটি। যে কোনো বিষয়ে নিজেকে অন্যের তুলনায় বড় মনে করাই হলো অহংকার। অর্থাৎ অন্যকে হেয় বা তুচ্ছ মনে করে নিজেকে বড় মনে করা। যা শয়তানের প্রধান কাজ। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘আল্লাহ কোনো উদ্ধত-অহংকারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা : লোকমান, আয়াত : ১৮)
আর পরকালে অহংকারী ব্যক্তির পরিণতি হবে ভয়াবহ। হাদিসে কুদসিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা দেন-
– ‘বড়ত্ব আমার চাদর এবং মহানত্ব আমার লুঙ্গি। যে কেউ এ দু’টির কোনোটি নিয়ে টানাটানি করে আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো।’ (মুসলিম, মিশকাত)
– ‘যার অন্তরে এক অণু পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (মুসলিম, মিশকাত)
সুতরাং অহংকারমুক্ত জীবন গড়তে মানুষের জন্য বিনয়ী ও নম্র হওয়ার বিকল্প নেই।
>> মিথ্যাচার
মানুষের বদ স্বভাবের মধ্যে অন্যতম হলো মিথ্যাচার করা। কেননা মিথ্যাকে সব পাপের জননী বলা হয়ে থাকে। সে কারণে মিথ্যা থেকে দূরে থাকতে কুরআনের নির্দেশনা হলো-
‘সুতরাং তোমরা মূর্তিদের অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাক এবং মিথ্যা কথন থেকে দূরে সরে থাক।’ (সুরা হজ : আয়াত ৩০)
যেহেতু মিথ্যা সব পাপের মূল এবং তা মানুষকে জাহান্নামে পৌঁছে দেয়। সে কারণে বাচ্চাদের সঙ্গেও অসত্য কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। মিথ্যা থেকে দূরে থাকতে হাদিসের নির্দেশনা হলো-
‘নিশ্চয়ই মিথ্যা পাপাচার পর্যন্ত পৌঁছে দেয় এবং পাপাচার জাহান্নাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। ব্যক্তি যখন অনবরত মিথ্যা বলতে থাকে তখন আল্লাহর কাছে তাকে মিথ্যাবাদীরূপে লিপিবদ্ধ করা হয়।’ (বুখারি
>> পদ ও সম্পদের লোভ
পদ মর্যাদা ও সম্পদের লোভ মারাত্মক বদ স্বভাব। এ স্বভাব মানুষের দুনিয়া ও পরকালকে ধ্বংস করে দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘যার দ্বারা আল্লাহ তোমাদের কাউকে অপর কারো ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, তোমরা তার লোভ করো না।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৩২)
সে কারণে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পদ মর্যাদা ও সম্পদের লোভকে মারাত্মক ক্ষতিকর স্বভাব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। হাদিসে এসেছে-
‘ছাগলের পালে দুটি ক্ষুধার্ত নেকড়ে বাঘ ছেড়ে দিলে যেমন ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, পদ মর্যাদার লোভ ও সম্পদের লোভ মানুষের দ্বীনের জন্য তার চেয়ে বেশি ক্ষতিকর।’ (তিরমিজি)
>> দুনিয়ার ভালোবাসা
হাদিসের পরিভাষঅয় দুনিয়া হচ্ছে পরকালের শস্যক্ষেত্র। প্রয়োজনের অতিরিক্ত দুনিয়ার ভালোবাসাই মানুষকে পাপাচারের দিকে ধাবিত করে। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘তোমরা জেনে রাখ! পার্থিব জীবন ক্রীড়া-কৌতুক, সাজ-সজ্জা, পারস্পরিক অহমিকা এবং ধন ও জনের প্রাচুর্য ব্যতিত আর কিছুই নয়; যেমন- এক বৃষ্টির অবস্থা, যার সবুজ ফসল কৃষকদেরকে চমৎকৃত করে, এরপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি তাকে পীতবর্ণ দেখতে পাও, এরপর তা খড়কুটা হয়ে যায়। আর পরকালে আছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। দুনিয়ার জীবন প্রতারণার উপকরণ বৈ কিছুই নয়।’ (সুরা হাদিদ : আয়াত ২০)
দুনিয়ার জীবন মানুষকে পাপ কাজের দিকে ধাবিত করে। আল্লাহর স্মরণ ও পরকালীন চিন্তা থেকে বিমুখ করে দেয়। হাদিসে এসেছে-
– ‘যে ব্যক্তি দুনিয়াকে ভালোবাসলো, সে তার পরকালকে ক্ষতিগ্রস্ত করলো। আর যে ব্যক্তি আখিরাতকে ভালোবাসলো, সে তার দুনিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করলো। সুতরাং তোমরা অস্থায়ী বস্তুর ওপর স্থায়ী বস্তুকে প্রাধান্য দাও।’ (মুসনাদে আহমদ)
– দীনার ও দিরহামের গোলামরা ধ্বংস হোক। তাদেরকে এ সব কিছু দেয়া হলে তারা সন্তুষ্ট থোকে আর না দেয়া হলে তারা অসন্তুষ্ট হয়।’ (বুখারি)
>> কৃপণতা
মানুষের মন্দ স্বভাবের মধ্যে অন্যতম একটি হলো কৃপণতা। ইসলাম সমাজ থেকে কৃপণতাকে সমূলে উঠিয়ে দিতে গুরুত্বারোপ করেছেন। কেননা কৃপণতা এমন এক মারাত্মক বদ স্বভাব। যার ফলে- ক্ষুধার্তকে খাবার দিতে, বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দিতে, অভাবগ্রস্তকে সাহায্য করতে, ইয়াতিমকে লালন-পালন করতে এবং ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করতে বাধা দেয় এ কৃপণতা।
কৃপণতা মানুষের জন্য কোনোভাবেই কল্যাণকর নয়। বরং এর অনিষ্টতা অনেক বেশি। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘আল্লাহ তাদেরকে নিজের অনুগ্রহে যা দান করেছেন তাতে যারা কৃপণতা করে এই কার্পন্য তাদের জন্য মঙ্গলকর হবে বলে তারা যেন ধারণা না করে। বরং এটা তাদের পক্ষে একান্তই ক্ষতিকর প্রতিপন্ন হবে। যাতে তারা কার্পন্য করে সে সমস্ত ধন-সম্পদকে কেয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ী বানিয়ে পরানো হবে। আর আল্লাহ হচ্ছেন আসমান ও যমীনের পরম সত্ত্বাধিকারী। আর যা কিছু তোমরা কর; আল্লাহ সে সম্পর্কে জানেন।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৮০)
কৃপণ ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। জাহান্নাম হবে তাদের প্রতিবেশি। হাদিসে এসেছে-
– ‘কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহ থেকে দূরে, জান্নাত থেকে দূরে এবং মানুষের থেকে দূরে থাকে। কিন্তু জাহান্নামের নিকটবর্তী থাকবে।’ (তিরমিজি, মিশকাত)
– ‘প্রতারক, কৃপণ এবং যে ব্যক্তি নিজ অনুগ্রহের কথা বলে বেড়ায়, তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (তিরমিজি, মিশকাত)
>> অপচয়-অপব্যয়
আল্লাহর রাস্তায় কৃপণতা যেমন মারাত্মক গোনাহ আবার ব্যয়ের ক্ষেত্রে অপব্যয়ও মারাত্মক গোনাহ। প্রয়োজনীয় কাজে যেমন অতিরক্তি ব্যয় করা যাবে না আবার কৃপণতাও করা যাবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন-
– ‘তোমরা খাও এবং পান করো; কিন্তু অপব্যয় করবে না। নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ) অপব্যয়কারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ৩১)
– ‘আর কিছুতেই অপব্যয় করবে না। যারা অপব্যয় করে তারা শয়তানের ভাই এবং শয়তান তার প্রতিপালকের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ২৬-২৭)
যারা অপব্যয় বা অপচয় না করে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে তারা কখনো অভাবগ্রস্ত হয় না। হাদিসে এসেছে-
যে ব্যক্তি ব্যয় করার সময় মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে, সে কখনো অভাবগ্রস্ত বা নিঃস্ব হয় না।’ (তাফসিরে মারেফুল কুরআন)
>> রাগ
রাগ বা ক্রোধ মানুষের সঠিক জ্ঞানের পরিপন্থী। রাগের কারণে মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। যারা আল্লাহকে ভয় করে তারা রাগ নিয়ন্ত্রণ করেন। আল্লাহ বলেন-
‘যখন তারা ক্রোধান্বিত হয় তখন তারা ক্ষমা করে দেয়।’ (সুরা আশ-শুরা : আয়াত ৩৭)
রাগ বো ক্রোধ হজমকারী ব্যক্তিই বীরপুরুষ। হাদিসে এসেছে-
‘ওই ব্যক্তি বীরপুরুষ নয়, যে অন্যকে ধরাশায়ী করে। বরং সেই প্রকৃত বীর, যে রাগের সময় নিজেকে সংযত রাখতে পারে।’ (বুখারি)
>> হিংসা
মানুষের বদ স্বভাবের মধ্যে মারাত্মক হলো হিংসা-বিদ্বেষ। অন্যের সুখ যে সহ্য করতে পারে না সে ব্যক্তিই হিংসুক। অথচ অন্যের প্রতি হিংসা করা ইসলামে হারাম। অথচ কুরআনে পাকে হিংসা থেকে বেঁচে থাকতে বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন-
‘আর হিংসুকের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাই, যখন সে হিংসা করে।’ (সুরা ফালাক : আয়াত ৫)
হিংসার কারণে মানসিক ব্যাধি ও অস্বস্থি তৈরি হয়। সামাজিক সুসম্পর্ক ও শৃঙ্খলা নষ্ট হয়ে যায়। হাদিসে এসেছে-
‘তোমরা হিংসা থেকে বিরত থাকো। কেননা হিংসা নেক আমলকে খেয়ে ফেলে। যেভাবে আগুন কাঠকে জ্বালিয়ে নিঃশেষ করে দেয়।’ (আবু দাউদ)
>> আত্মগৌরব
অহংকারের একটি শাখা হলো আত্মগৌরব। এ থেকে বেঁচে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মহান আল্লাহ। কুরআনে এসেছে-
‘তোমরা আত্মপ্রশংসা কোরো না, কে আল্লাহভীরু এ সম্পর্কে তিনিই সম্যক অবগত।’ (সুরা নজম : আয়াত ৩২)
এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
‘প্রবৃত্তির অনুগামী হওয়া, কৃপণতার অনুগত হওয়া এবং আত্মপ্রশংসায় লিপ্ত হওয়া—এগুলো হচ্ছে ধ্বংসাত্মক বদ-স্বভাবের অন্তর্ভুক্ত। তবে এসবের মধ্যে শেষোক্তটি (আত্মগৌরব হচ্ছে সবচেয়ে জঘন্য।’ (বায়হাকি)
>> গালমন্দ
গালাগাল বা ফাহেশা কথা ইসলামে নিষিদ্ধ ও মারাত্মক পাপ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একাধিক হাদিসে এ ব্যাপারে মানুষকে সতর্ক করেছেন। আর তাহলো-
– ‘মুমিনের সঙ্গে লড়াই করা কুফরি এবং তাকে গালি দেয়া ফিসক (প্রকাশ্য পাপ)।’ (নাসাঈ)
– ‘প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তি কারো প্রতি গালাগাল ও অভিশাপ করে না এবং সে কোনো অশালীন ও অশ্লীল কথাও বলে না।’ (তিরমিজি)
– প্রকৃত মুসলমান সেই ব্যক্তি, যার মুখ ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ।’ (বুখারি)
>> প্রতারণা
দুনিয়ার প্রতিটি কাজে ধোঁকা দেয়া বা প্রতারণা করা মারাত্মক বদ স্বভাব। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি প্রতারকে তার উম্মত হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন না। হাদিসে এসেছে-
‘যে ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মত হিসেবে গণ্য হবে না।’ (তিরমিজি)
>> তোষামোদি
কারো অতিরিক্ত তোষামোদি বা প্রশংসা করাও ইসলামে নিষিদ্ধ। এতে মিথ্যার প্রচার ও প্রসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মানুষের অহংকারবোধ তৈরি করে। সে কারণে তোষামোদি করা ইসলামে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘তুমি মনে করো না, যারা নিজেদের কৃতকর্মের উপর আনন্দিত হয় এবং না করা বিষয়ের জন্য প্রশংসা কামনা করে, তারা আমার কাছ থেকে অব্যাহতি লাভ করেছে। বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৮৮)
মাত্রারিক্তি প্রশংসা তথা তোষামোদি সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-
– তোমরা যদি কাউকে মাত্রাতিরিক্ত প্রশংসা করতে দেখ তাহলে তাদের মুখে মাটি ছুঁড়ে মারবে।’ (মুসলিম, মিশকাত)
– কোনো ফাসিক ব্যক্তির প্রশংসা করা হলে আল্লাহ তাআলা রাগান্বিত হন এবং এতে তার আরশ কেঁপে ওঠে।’ (বায়হাকি, মিশকাত)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার অধপতন তথা ভয়াবহ আজাব থেকে রক্ষা পেতে উল্লেখিত বদ স্বভাবগুলো থেকে হেফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।