মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন
রামু উপজেরার গর্জনিয়া ইউনিয়নে সরকারী, বেসরকারী, প্রাথমিক বিদ্যালয় মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্টান রয়েছে প্রায় ৩০টির মত। একটিতেও শহীদ মিনার নেই। তারা বিভিন্ন দিবস পালনে কাগজের তৈরী অথবা কাপড়ের তৈরী শহীদ মিনার তৈরী করে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এটি চলে আসছে স্বাধীনতার পর থেকে যা আজ অবধী চলমান রয়েচে সরকারের সবদিকে নজর থাকলেও স্বাধীনতার শহীদদেও প্রতি এমন অবহেলায় গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা ইতিহাস ভুলে যাবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
বিদ্যালয় আছে, কিন্তু নেই শহীদ মিনার। একুশে ফেব্রুয়ারির কোনো আয়োজন হলেও শিক্ষাথীরা শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন না শহিদের প্রতি।। কখনো কখনো অন্যস্থানের শহীদ মিনারে গিয়ে জানানো হয় ভাষী শহীদদের শ্রদ্ধা। এমনভাবে চলছে সেই বায়ান্নর পর থেকেই।সরকারি আদেশ অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক হলেও ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছরেও রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষাশহীদের স্মৃতিচিহ্ন শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। কারো কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি আজ অবধি।তবে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এলে। বাধ্য হয়ে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একদিনের জন্য অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। সেখানেই কোনো মতো জানানো হয় শ্রদ্ধা। এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।শহীদ মিনার না থাকায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাদা কাপড় দিয়ে তৈরী করা হয় শহীদ মিনার সেখানে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে। তাদের দাবি, শুধু তাদের বিদ্যালয়েই নয়, দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে যেন সরকারিভাবে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। তাতে তারা ভালোভাবে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে পারবে।ভাষা শহীদদের প্রতি শিশুদের শ্রদ্ধা জানান কিভাবে জানতে চাইলে জুমছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মাইমুনা ছিদ্দিকা উর্মি বলেন, আমাদের স্কুলে শহীদ মিনার নাই। তাই আমি ও আমার ক্লাসের বন্ধুরা মিলে বড় সাদা কাগজ কিনে শহীদ মিনার আঁকিয়ে ওয়ালে (বাউন্ডারি) আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি। আর সেই শহীদ মিনারে আমরা সবাই মিলে ফুল দিয়েছি।
প্রধান শিক্ষক ফইজুল্লাহ জানালেন, আমাদের বিদ্যালয়ে কোনো শহীদ মিনার নেই। তাই মাতৃভাষা দিবসে আমরা স্কুলে আমরা র্যালি শোকসভা অংকন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন অনুষ্টান করলেও আমরা শহীদ মিনার না থাকায় শহীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারি না ফইজুল্লাহ দাবি জানিয়ে বলেন, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হলে নতুন প্রজন্মের কাছে শহীদ দিবসের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে পারবো।’
গজনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা সভাপতি আয়ুব সিকদার বলেন গতকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছি কাপড়ের তৈরী শহীদ মিনাওে ফুল দিয়ে।স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আমাদেও মাদ্রাসায় একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হউক। এ ব্যাপারে রামু উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা প্রনয় চাকমা বলেন,আমি আসার পর এইসব সমস্যা নিয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে আলেচনা করেছি আশা করছি অল্পদিনের মধ্যে গর্জনিয়ার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ গজনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা মাঠে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে সকলের সহযোগিতায়। কক্সবাজার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ছালেহ উদ্দীন চৌধুরী জানান, জেলা পর্যায়ে স্কুলগুরো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনাওে এসে বিভিন্ন দিবস পালন কওে আর যেসব তৃনমুল পর্যায়ে শহীদ মিনার নেই সেইসব স্কুলগুরো তালিকা কওে আমি শীগ্রই মন্ত্রনালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠাবো শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য।