বিশেষ প্রতিবেদক :
কক্সবাজার কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানের সেবায়েত ঘর আগুন পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে। দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় সেবায়েত ঘর।
স্থানীয়রা জানান, ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭ টার দিকে শ্মশানে থাকা ঘরটিতে আগুন লাগে। স্থানীয়রা সবাই দ্রুত গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয় । এর আগে আগুনে ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যাই।
শ্মশানের কেয়ারটেকার তেজেন্দ্র দে তেজ জানান, সকাল ৭ টার দিকে নাস্তা করতে চায়ের দোকানে গেলে কিছু দুর্বৃত্ত ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যাই। এর আগের দিন রাতে কিছু মাদক সেবনকারি সন্ত্রাসী যুবক শ্মশানের ভিতর ঢুকে মাদন সেবন করে। এতে বাধা দেয়া হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তারা ঢিল ছুড়ে এবং দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যাই। এর পরের সকালে তারা ঘরটিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেই।
মহাশ্মশান পরিচালনা কমিটির কার্যকরী সভাপতি সাংবাদিক দীপক শর্মা দীপু জানান,শ্মশানের নিরাপত্তা ও আনুষাঙ্গিক সেবায়েত কাজের জন্য ঘরটি তৈরি করা হয়। এই ঘরে সেবায়েত ও পাহারাদার বসবাস করে। আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারনে তাদের ব্যবহারের সামগ্রীসহ পূজাদির নানা দ্রব্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় দুইলাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন ঘরটি পুড়ে যাওয়ার কারনে শ্মশানের নিরাপত্তা ও সেবা কর্মকান্ড ব্যহত হচ্ছে।
মহাশ্মশান পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এডভোকেট রনজিত দাশ জানান, শহরে এটি একমাত্র হিন্দুদের শ্মশান। শ্মশান পবিত্র জায়গা হলেও এখানে মাদক সেবনকারি ও জুয়াড়িরা প্রতিদিন তাদের আসর বসিয়ে নানা অনাচার করছে। তারই অংশ হিসেবে মাদক সেবনকারিরা শ্মশানের ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তিনি এসব দুর্বৃত্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
এই ঘটনায় শ্মশান পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপক দাশ কক্সবাজার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সদর মডেল থানার ওসি শাহজাহান জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের আটক করার অভিযান চলছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।