সিবিএন ডেস্ক:
দেশের কারাগারগুলোতে থাকা ৮৮ হাজার বন্দির এক-তৃতীয়াংশই মাদক মামলার আসামি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রায় প্রতিদিনই মাদকের মামলায় কারাগারে যেমন বন্দি ঢুকছে, তেমনি জামিনে মুক্তি নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে পাঁচশ’র মতো বন্দি। আর এভাবেই কারাগারে যাওয়া-আসার মধ্যে রয়েছে মাদক মামলার আসামিরা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারির হিসাব অনুযায়ী, মাদকের মামলায় দেশের বিভিন্ন কারাগারে ২৬ হাজার ২৩২ জন বন্দি ছিল। এদের মধ্যে ৯৪৬ জন নারী, বাকি ২৫ হাজার ২৮৬ জন পুরুষ।
মাদক পাচার, বহন ও বিক্রির অভিযোগে প্রতি বছর দেড় লাখের বেশি লোককে গ্রেফতার করে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর গ্রেফতারকৃতদের আদালতের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।
সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে পুলিশই গ্রেফতার করে ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৬ জন মাদক কারবারিকে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে লক্ষাধিক। একই বছর আড়াই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিজিবি। র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয় ৭ হাজারের বেশি মাদক কারবারি। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য বিভাগও মাদক কারবারে জড়িত অভিযোগে অনেককে গ্রেফতার করে। তবে বছর শেষে দেখা যায়, মাদক মামলায় কারাভোগ করছে দশ ভাগের এক ভাগ আসামি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রতিদিনই বিভিন্ন মামলার আসামি ঢুকছে কারাগারে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢুকছে মাদক মামলার আসামি। আবার জামিনে মুক্তি পেয়ে বেরও বেশি হচ্ছে মাদক মামলার আসামি। যেমন গত ১২ ফেব্রুয়ারি কারাগারে ঢোকে ৪১৯ জন মাদক মামলার আসামি, আর জামিনে বেরিয়ে যায় ৫৪৭ জন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হচ্ছে মাদক পাচারকারী ও বিক্রেতাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। গ্রেফতারের পর সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে পাঠানোর পর পুলিশের করণীয় আর থাকে না।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।