শ্যামল রুদ্র, খাগড়াছড়ি :

মুজিব বর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ১৯৫২ এর ভাষাশহীদদের স্বরণে গুইমারা সরকারী কলেজে নব নির্মিত শহীদ মিনার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ২৪আর্টিলারী ব্রিগেড,গুইমারা রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান,এ এফডব্লিউসি,পিএসসি,জি।

রবিবার(১৬ফেব্রুয়ারী)দুপুরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে,সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল কাজী মো.কাওসার জাহান পিএসসি,জি,মেজর জুনায়েদ বিন কবির,জি,গুইমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা,উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ,গুইমারা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নাজিম উদ্দিন,গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার বড়–য়া,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্ণা ত্রিপুরা,গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম,সাধারণ সম্পাদক মেমং মারমা,হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী,গুইমার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেন,গুইমারা প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব এম দুলাল আহাম্মদসহ গুইমারা রিজিয়ন,সিন্দুকছড়ি জোনের পদস্থ সেনা অফিসার,গুইমারা সরকারি কলেজের প্রভাষক,ছাত্র-ছাত্রীরা এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান বলেন,ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ অদান রয়েছে।আজন্ম মাতৃভাষাপ্রেমী এই মহান নেতা মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত ভাষার উন্নয়ন ও বিকাশে কাজ করে গেছেন।মুজিব বর্ষের ক্ষণ গননার অন্তিম মুহুর্তে এমন একটি মহতি উদ্যোগ গ্রহন করায় সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন,গুইমারা রিজিয়ন তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পাহাড়ে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের জন্য সর্বক্ষেত্রে শিক্ষা,চিকিৎসাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। কলেজ প্রতিষ্ঠার থেকে সেনা রিজিয়ন গুইমারা কলেজের পাশে আছে,ভবিষ্যতেও থাকবে এবং পর্যাক্রমে কলেজের দাবীসমুহ পুরণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ১৪ফিল্ড আর্টিলারী সিন্দুকছড়ি জোন কামন্ডার লে. কর্ণেল কাজী মো. কাওসার জাহান পিএসসি,জি পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় এবং মেজর জুনায়েদ বিন কবির,জি,সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো.খোরশেদ আলম,ওয়ারেন্ট অফিসার জাহিদুল ইসলাম, এবং সাজেন্ট টিএ পলাশ চন্দ্র বিশ^াস, সার্বিক সহযোগিতায়-আর্থায়নে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে ১৪ফিল্ড আর্টিলারী সিন্দুকছড়ি সেনা জোন।